বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানিস্তনের যাওয়াটা মোটেও ফ্লুক ছিল না। বরং, সেমিফাইনালে তাঁর পারফরম্যান্সটাই কিছুটা ফ্লুক। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাঁদের এভারে ভেঙে পড়াটাই ছিল অস্বাভাবিক।
গ্রুপ পর্ব কিংবা সুপার এইটটা সুন্দর হলেও শেষটা রাঙানো হল না আফগান যোদ্ধাদের। ‘চোকার’ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৬ রানে অল আউট হয়ে আফগানরা হারে নয় উইকেটের বিরাট ব্যবধানে।
‘আন্ডারডগ’ দলের বিশ্ব মঞ্চের সেরা পারফরম্যান্স এর আগে ছিল সেই ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেবার ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল কেনিয়া। যদিও, সেবার কেনিয়ার এই উত্থানের পেছনের ভাগ্যের যথেষ্ট সহায়তা ছিল।
নিজেদের মাটিতে সেবার বিশ্বকাপ খেলে কেনিয়া। বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। তার ওপর নিউজিল্যান্ড দল কেনিয়া গিয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাঁরা অপমানিত হয় বটে, সাথে বাড়তি পয়েন্ট পেয়ে পৌঁছে যায় সুপার এইটে।
হ্যাঁ, এটা ঠিক যে কেনিয়া সেবার দু’টে টেস্ট খেলুড়ে দেশকে হারায় গ্রপ পর্বে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সাথে সাথে কানাডাকেও হারাতে সক্ষম হয় তাঁরা। স্বপ্নের সেমিফাইনালের টিকেট তাঁরা পায় সুপার এইটে জিম্বাবুয়ে ও বৃষ্টির ফাঁদে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে। পারে আসিফ করিম, মরিস ওদুম্বে কিংবা স্টিভ টিকোলোরা অবশ্য নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
যদিও, সেই ম্যাচটা জিততে পারেনি কেনিয়া। আসিফ করিমের সাত রান দিয়ে পাওয়া তিন উইকেটের সংগ্রামী প্রচেষ্টা ব্যহত হয়। সেমিফাইনালে কেনিয়া হারে ভারতের কাছ থেকে। বিদায় নেয় মাথা উঁচু করে। প্রথমবারের মত কোনো আইসিসি সহযোগী দেশ খেলে সেমিফাইনাল।
এবার অবশ্য আফগানদের উত্থান এতটাও ‘স্মরণীয়’ নয়। কারণ, গেল বেশ কয়েকটা বছর ধরেই আফগানরা বিরাট জায়ান্ট কিলার। তাঁরই ধারাবাহিকতায় পেয়েছে টেস্ট স্ট্যাটাস। আর এবারের বিশ্বকাপ তাঁদের বড় দল হয়ে ওঠার সূচনা। তাই, আফগানদের কোনোভাবেই ২০০৩ সালের কেনিয়ার সাথে মেলানো যাবে না।