অলৌকিক এক সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তান। বৃষ্টির জলে আফগানিস্তানের কপাল পুড়ল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল ভার্চুয়াল কোয়ার্টার ফাইনাল। কিন্তু সে কোয়ার্টার ফাইনালের শেষে লেখা রইল ‘নো রেজাল্ট’। তাতে করে আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল, কিন্তু এখনও স্বপ্নের কবর রচিত হয়নি। অলৌকিক কিছু একটা ঘটে গেলেই অস্ট্রেলিয়ার সাথে আফগানিস্তান চলে যাবে সেমিফাইনালে।
বহু সমীকরণে গ্রুপ বি-তে বাকি আছে আর মাত্র একটি ম্যাচ। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার সেই ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তানকে। দু’টো ম্যাচ হেরে গিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে একেবারেই ছিটকে গেছে ইংল্যান্ড। সেই ইংল্যান্ডকেই সমর্থন জানাবে নিশ্চয়ই আফনিস্তানের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক।
সব সমীকরণের শেষে একটা মাত্র সমীকরণই রয়েছে বাকি আফগানদের পক্ষে। সেটা খানিক অবাস্তবও। প্রোটিয়াদের হারতে হবে ইংলিশদের বিপক্ষে। সেটা অবাস্তব হওয়ার কথা নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি জয় নিয়ে ফিরতে চাইবে ইংল্যান্ড।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধাবে আফগানিস্তানের নেট রানরেট। -০.৯৯ রানরেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সমপরিমাণ তিন পয়েন্ট পেয়েও টেবিলের তিন নম্বর পজিশনে রয়েছে আফগানিস্তান। অন্যদিকে আফগানিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হারানো প্রোটিয়াদের নেট রানরেট এখন ২.১৪০। তাইতো বিশাল ব্যবধানে হারতে হবে প্রোটিয়াদের।
এখন সমীকরণ হচ্ছে, যদি প্রথমে ইংল্যান্ড ব্যাটিং করে তবে তাদেরকে স্কোরবোর্ডে তুলতে হবে অন্তত ৩০০ রান। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে, ২০৭ রানের অসম্ভব ব্যবধানে হারাতে হবে। এছাড়া যদি দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে অন্তত ৩০০ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে। তাহলে ইংল্যান্ডকে জিততে হবে ১১.১ ওভারের মধ্যে।
আর একটি সমীকরণ অবশ্য রয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের কোন ফায়দা নেই। যদি ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটিও বৃষ্টির বাগড়ায় মাঠে না গড়ায়, তাহলে চার পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা চলে যাবে সেমিফাইনালে।
বাকি থাকা সমীকরণে দক্ষিণ আফ্রিকার পথ সুগম হয়ে আছে ইতোমধ্যে। আফগানিস্তানের দুর্ধর্ষ যাত্রার পরিসমাপ্তি ঘটে গেল এবারের চ্যাম্পিয়সন্স ট্রফিতে। তারা নিশ্চয়ই আবারও কোন এক আইসিসি ইভেন্টে হাজির হবে। ও তার আগেই তো এশিয়া কাপ। চ্যাম্পিয়ন হতেই নিশ্চয়ই হাজির হবে আফগানরা।