নিয়ন্ত্রিত বল করে প্রথম ইনিংসেই জয়ের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের বোলাররা। আর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে সেই জয় নিশ্চিত করেন দুই ওপেনার আনিসুল হক ইমন ও রাকিন আহমেদ। দুই ওপেনারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এবারের আসরের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ওল্ড ডিওএইচএস।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের চতুর্থ ম্যাচে ব্যাটে বলে দাপট দেখিয়ে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব।
বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে ১৫ ওভার নির্ধারণ করা হয়েছিল। ১৫ ওভারের ম্যাচে যে রকম চার ছয়ের ফুলঝুরি দেখা যায় তার ছিটেফোঁটাও ছিল না পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যাটসম্যানদের ভিতর। দৃষ্টিকটু ব্যাটিংয়ে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবকে মাত্র ৭৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পারটেক্স।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পারটেক্সের বোলারদের উপর চড়া হন ওল্ড ডিওএইচএসের দুই ওপেনার আনিসুল হক ইমন ও রাকিন আহমেদ। পারটেক্সের বোলারদের কোন সুযোগ না দিয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই দলের জয় নিশ্চিত করেন এই দুই ওপেনার।
আনিসুল ৩৩ বলে ৩৩ রান করে ও রাকিন ৩৬ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। উইকেট না পেলেও তুলনামূলক ভালো বল করেছেন জুবায়ের হোসেন ও জয়নাল ইসলাম। তিন ওভারে ১৫ রান দিয়েছেন জুবায়ের ও দুই ওভারে ১৩ রান দিয়েছেন জয়নাল।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ম্যাচের প্রথম ওভারেই হারায় হাসানুজ্জামানকে। রানের খাতা খোলার আগেই আব্দুর রশিদের প্রথম শিকার হয়ে ফিরে যান এই ওপেনার। এরপর পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট না হারালেও রানের গতি থমকে যায় পারটেক্সের।
আব্বাস মুসা ও তাসামুল হক দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪০ বলে যোগ করেন মাত্র ২৭ রান। ২১ বলে ১৭ রান করে মুসা ফিরে গেলে ভাঙে এই মন্থর জুটি। রাকিবুল হাসানের জোড়া আঘাতে ফিরে যান তাসামুল হক ও ইজহারুল ইসলাম। ২৫ বলে মাত্র ১৮ রান আসে তাসামুলের ব্যাট থেকে আর ৭ বলে ৫ রান করেন ইজহারুল।
এর পর উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান আসলেও রানের গতি বাড়েনি পারটেক্সের। সময়ের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়ে নাজমুল হোসেন মিলন অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ১৭ রান করে। তবে শেষের দিকে ধীমান ঘোষের ১২ বলে ১৭ রানেন ছোট ঝড়ে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান সংগ্রহ করে পারটেক্স।
ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের বোলারদের ভিতর সবচেয়ে সফল ছিলেন রাকিবুল হাসান। তিন ওভারে ৮ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন এই স্পিনার। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন আব্দুর রশিদ ও মোহাম্মদ শান্ত।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৭৭/৪ (ওভার: ১৫; মুসা- ১৭, হাসানুজ্জামান- ০, তাসামুল- ১৮, ইজহারুল- ৫, মিলন- ১৭*, ধীমান- ১৭*) (রাকিবুল- ৩-০-৮-২, রশিদ- ৩-০-২৪-১, শান্ত- ৩-০-১৬-১)
ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব: ৭৮/০ (ওভার- ১১.৩; আনিসুল- ৩৩*, রাকিন- ৪৩*) (জুবায়ের- ৩-০-১৫-০, জয়নাল- ২-০-১৩-০)
ফলাফল: ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব ১০ উইকেটে জয়ী।