মোটে তৃতীয় টেস্ট খেলছেন আকাশ দীপ। এর মধ্যেই বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলেছেন ডানহাতি এই বোলার। প্রতিপক্ষের টপ অর্ডারকে আঘাত করতে পছন্দ করেন আকাশ। বিশেষ করে বাঁ-হাতি ব্যাটারদের উইকেট শিকার যেন রীতিমত তার নেশা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাদা পোশাকে অভিষেক ঘটে আকাশের। বিহার থেকে উঠে আসা ২৭ বছর বয়সী এই পেসার ইতোমধ্যেই নিজের সক্ষমতার প্রমাণ রাখছেন। রেড চেরি হাতে প্রায় প্রতি ম্যাচেই উইকেটের দেখা পাচ্ছেন। যদিও প্রতিপক্ষকে একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে দিতে পারেননি। তবে তিনি প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাস টলাতে পেরেছেন বটে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার প্রথম উইকেট ছিল বেন ডাকেট। প্রতিটা দলের টপ অর্ডার ব্যাটার চান দলকে দারুণ শুরু এনে দিতে। বড় একটা রান নিজের নামের পাশে যুক্ত করতে। কিন্তু সেই কাজটা করতে দিতে নারাজ আকাশ। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে এসে তিনি বাঁ-হাতি ব্যাটারকে ফেলেন দ্বিধায়। আর সে দ্বিধায় ফেলে এখন অবধি পাঁচখানা বা-হাতি ব্যাটারকে নিজের শিকার বানিয়েছেন।
কানপুরে বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে ফিরিয়েছেন তিনি। জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম দু’জনই ছিলেন বা-হাতি ব্যাটার। এছাড়াও চেন্নাই টেস্টের জাকির ও মুমিনুল হকের উইকেট বাগিয়েছিলেন। বাঁ-হাতি ব্যাটারদের জন্যে রীতিমত ত্রাসে পরিণত হয়েছেন তিনি।
আকাশ বেশ স্কিডি বোলার। তাঁর বল পিচ করবার পর হুট করেই ব্যাটারদের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। আর সেই স্কিড করা বলগুলো তুলনামূলক বেশি গতি অনুভব করায় ব্যাটারদের। সেই সাথে বলকে দুই দিকেই সুইং করাতে পারেন আকাশ। আর সেখানেই বা-হাতি ব্যাটাররা খাবি খাচ্ছেন ডানহাতি এই পেসারের বিপক্ষে।
রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে যখন তিনি বোলিংয়ে আসেন, তখন তার বোলিং আর্মের অ্যাঙ্গেল বাঁ-হাতি ব্যাটারদের জন্যে স্বাভাবিকভাবেই ইনসুইং অ্যাঙ্গেল তৈরি করে। তেমন অ্যাঙ্গেল থেকে অফ স্ট্যাম্প লাইনের বল ব্যাটারদের না খেলার কোন বিকল্প নেই। আর সে বিষয়টি বেশ ভাল করেই জানা আকাশের। তিনি নিজের সক্ষমতা আর শক্তি সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই অবগত।
তাইতো নিজের ঝুলির অস্ত্র দিয়ে কাবু করেন বাঁ-হাতি ব্যাটারদের। তাছাড়া তার নেওয়া অধিকাংশ উইকেটই এসেছে বল যখন নতুন থাকে। নতুন বল একটু বেশিই মুভমেন্ট করে। তাছাড়া স্কিড করেও পুরান বলের তুলনায় বেশি। সে জন্যেই টপ অর্ডারদের উইকেট যাচ্ছে আকাশের পকেটে। আর আকাশ রীতিমত আকাশ সমান বিস্তৃতি ছড়িয়ে দিচ্ছেন টেস্ট ক্রিকেটে।