জিসান আলম পারেননি স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করতে, সাইফ হাসানও ব্যর্থ হয়েছেন। ওপেনার পারভেজ ইমন ভাল শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি – টপ অর্ডারের এমন অসন্তোষজনক পারফরম্যান্সে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ এ দল। শেষ দশ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮৭ রানের, নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা যেকোনো দর্শকই জানেন যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই সমীকরণ মেলানো কঠিন টাইগারদের জন্য।
তবে আকবর আলী ছিলেন বলে রক্ষা, এগারোতম ওভারে আয়ুশ শুকলাকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাত খোলেন তিনি। তবে কাজের কাজটা করেছেন পরের ওভারে; ইয়াসিম মুর্তাজার প্রথম বলেই মিড উইকেটের পর বিশাল ছক্কা মেরে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন – পরের তিন বলে দুই চার এবং এক ছয়ের সাহায্যে ম্যাচের ভাগ্য তখনি গড়ে দিয়েছিলেন এই ডানহাতি।
এতক্ষণ রয়ে সয়ে খেলে তাওহীদ হৃদয়ও অনুপ্রেরণা নিয়েছেন আকবর আলীর ব্যাটিং থেকে। আউট হওয়ার আগে একটা চার ও একটা ছয় মেরে সতীর্থদের কাজটা সহজ করে দেন।
খানিক পরে অবশ্য এই উইকেটরক্ষক নিজেও আউট হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৪ বলে ৪৫ রানের ক্যামিও খেলেন তিনি, এতেই মূলত সহজ জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। দশ বল আর পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জেতে টিম টাইগার্স।
টি-টোয়েন্টিতে মিডল অর্ডার ব্যাটারকে হতে হয় গেম চেঞ্জার, চাপের মুখে বাউন্ডারি আদায় করে ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে হয়। আকবর দ্য গ্রেট ঠিক তাই রেখেছেন, উপরের দিকে ব্যাটাররা যখন ঠিকঠাক গতিতে রান তুলতে পারছিলেন তখন তিনি পথ দেখিয়েছেন; আধিপত্য দেখিয়েছেন বোলারদের ওপর।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনো আহামরি পারফরম্যান্স করেননি এই ডানহাতি, তবে দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সবসময়ই ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। বিপিএল, ডিপিএল কিংবা এ দল যেখানেই খেলেছেন হয়ে উঠেছেন ডিপেন্ডেবল – সামনে জাতীয় দলের হাল ধরার হাতছানি আছে তাঁর সামনে।
সেজন্য অবশ্য আগামী বিপিএল হতে পারে দারুণ একটা মঞ্চ, ভাল করতে পারলেই জাতীয় দলের ভঙ্গুর মিডল অর্ডার মেরামতের দায়িত্ব পেয়ে যাবেন