নতুন বল হাতে পেয়ে যেন বিদ্যুৎ খেয়ে গেলো আল ফাহাদের শরীরে, সেই বিদ্যুৎ তিনি ছড়িয়ে দিতে চাইলেন শ্রীলঙ্কা যুব দলের মাঝে। তাতেই যেন ধ্বস নেমেছে দলটির টপ অর্ডারে; ক্ষণিকের ব্যবধানে দুই দুইটা উইকেট তুলে নিয়ে তিনি শুরুতেই এগিয়ে দিলেন বাংলাদেশকে। একজন পেসারের কাছে ঠিক যেটা আশা করে দল ঠিক সেটাই পাওয়া গিয়েছে তাঁর কাছ থেকে।
কেবল প্রথম স্পেলে নয়, পুরো ইনিংস জুড়েই আসলে ফাহাদ ত্রাস ছড়িয়েছেন লঙ্কানদের। ফিরিয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান ভিমাথ দিনসারাকে – ডেথ ওভারেও প্রতিপক্ষ এতটুকু ছাড় পায়নি তাঁর কাছ থেকে।
সবমিলিয়ে এদিন ৯.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে চার উইকেট আদায় করে নিয়েছেন এই পেসার, বিনিময়ে খরচ করেছেন মাত্র ৫০ রান। তাঁর এমন পারফরম্যান্সের কারণেই দিনসারার দুর্দান্ত ইনিংস সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা বেশিদূর যেতে পারেনি। মাত্র ২২৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছে তাঁরা।
অবশ্য এই তরুণের জন্য দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করাটা বিরল কিছু নয়। ধারাবাহিকতা আর সামর্থ্যের প্রমাণ তিনি ইতোমধ্যে দিয়েছেন, টুর্নামেন্ট জুড়ে প্রতি ম্যাচেই ছিল তাঁর দাপট। প্রথম ম্যাচের কথাই ভাবা যাক, আফগানিস্তানের বিপক্ষে কি অসাধারণ বোলিংটাই না করেছিলেন তিনি। ৩৬ রানের বিনিময়ে সেদিন তিন উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন এই তরুণ – জয়ের পিছনে তাই তাঁকেও অন্যতম নায়ক ভাবতে বাধ্য হবেন যে কেউ।
নেপালের বিপক্ষে পুরো দলই মেতে উঠেছিল শিকারের আনন্দে, তবু ফাহাদ আলো কেড়েছেন স্বমহিমায়। ৭.৪ ওভার বল করে খরচ করেছিলেন মাত্র ২৬ রান, ইকোনমি ৩.৫ এরও কম। সেই সাথে উইকেট পেয়েছেন দুইটা।
বাংলাদেশে যেই পেস বিপ্লব শুরু হয়েছে, নাহিদ রানা যে কেতন উড়িয়ে ধরেছেন, সেটারই উত্তরসূরী হিসেবে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছেন এই প্রতিভাবান। ঘরোয়া ক্রিকেটে আবাহনীর মত দলে জায়গা তো এমনি এমনি পান নি। এখন শুধু নিজেকে এগিয়ে নেয়ার পালা।