আর্জেন্টিনা আক্ষেপ করতেই পারে, তবে যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে প্যারাগুয়ে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, পুুরো ম্যাচেই যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন খোঁদ লিওনেল মেসি – ফলাফল তাই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-১ গোলের হার।
মেসি নিজেকে খুঁজে পাননি তো বটেই, একই সাথে তিনি মেজাজও হারিয়েছেন ম্যাচে। মাঠে যে দৃশ্যটা একেবারেই দেখা যায় না বললেই চলে।
মাঠে রেফারিকে উদ্দেশ্য করে আঙুল উঁচিয়ে কিছু একটা বললেন লিওনেল মেসি। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল, রেফারির কোনো একটি সিদ্ধান্ত ভালো লাগেনি। নিশ্চয়ই, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নিজেদের তৃতীয় হারটা মেনে নিতে পারেননি মেসি।
১১ মিনিটে লাওতারো মার্তিনেজের বাঁ-পায়ের ফিনিশিংয়ে আর্জেন্টিনাই এগিয়ে গিয়েছিল ম্যাচে। কিন্তু মাত্র ৮ মিনিটের জন্য।
পরের মুহূর্তটি ম্যাজিক! ফুটবল মাঠে এই দৃশ্য রোজ দেখা মেলে না। আর ওই মুহূর্তটাই ম্যাচে প্যারাগুয়ের জন্য মোমেন্টাম। সেই মোমেন্টামেই যেন অন্য এক দল হয়ে ওঠে প্যারাগুয়ে।
আন্তোনিও সানাব্রিয়ার চোখ ধাঁধানো বাইসাইকেল কিকে করা গোলে সমতায় ফেরে প্যারাগুয়ে। একই কাজ তিনি ম্যাচে আগেও করার চেষ্টা মিগেল আলমিরন। তবে, তাঁর বাইসাইকেল কিক ব্যর্থ হয়। তখন ঠিকঠাক না হলেও যখন সানাব্রিয়া পারলেন – তখন যেন ফুটবল মাঠে মোহনীয় এক দৃশ্যের অবতারণা হল।
আর তখন থেকেই আর্জেন্টিনা ব্যাকফুটে। নিজেদের মাঠে প্যারাগুয়ের জয় নিশ্চিত করেন ওমর আলদেরেতে। ৪৭ মিনিটে তাঁর হেডে এগিয়ে যায় প্যারাগুয়ে। লিওনেল মেসি পুরো সময় মাঠে থাকার পরও আর্জেন্টিনা আর পারেনি।
পিছিয়ে পড়ার পর যেন খেই হারিয়ে ফেলে আর্জেন্টিনা। ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিওনেল স্কালোনির দল। মেসি একটা সুযোগ পেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
৭৯ তম মিনিটে মেসি সমতা ফেরাতে পারলে ফলাফল ভিন্ন রকম হত। তার দূরপাল্লার শট একজনের গায়ে লেগে বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। সত্যি, এই রাত মেসিদের ছিলই না!