সবশেষ কবে লা লিগায় গোল করেছিলেন জুলিয়ান আলভারেজ, সেটা বোধহয় তিনি নিজেই ভুলে গিয়েছিলেন। দিন তারিখের হিসেবে পেরিয়ে গিয়েছিল এক মাসেরও বেশি সময়, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি। এবার অবশ্য তাঁর গোল খরার অবসান ঘটলো, মায়োর্কার বিপক্ষে জালের দেখা পেলেন তিনি। তাঁর একমাত্র গোলেই মূল্যবান এক জয় পেল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।
অবশ্য আর্জেন্টাইন তারকার গোলের পিছনের দৃশ্য দেখলে আপনি বাধ্য হবেন জিউলিয়ানো সিমিওনের প্রশংসা করতে। ইয়ান অবলাক বল হাতে পেয়েই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সিমিওনের উদ্দেশ্যে। অনেকটা পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও স্রেফ গতির ঝলকে দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে তিনি বলের দখল নিয়ে নেন চোখের পলকে; তারপরই ঢুকে পড়েন ডি বক্সে।
তবে স্বার্থপরের মত নিজে চেষ্টা করেননি গোল করার, সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা আলভারেজকেই সুযোগ করে দিয়েছিলেন এই উইঙ্গার। ফাঁকা পোস্টে গোল করতে বিশ্বকাপজয়ী তরুণের কোন ভুল হয়নি।
এই নিয়ে লিগে চতুর্থ গোলের দেখা পেলেন তিনি, আর অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের জার্সি গায়ে এটি তাঁর সপ্তম গোল। অবশ্য মায়োর্কার বিপক্ষে গোল পেলেও পারফরম্যান্সে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। পাস খেলেছেন একুশটা, শট অন টার্গেট আছে কেবল একটা। এছাড়া প্রতিপক্ষের ডি বক্সে তাঁর টাচ আছে স্রেফ দুইবার। তিনি এদিন কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেননি, ট্যাকেল জিতেননি এমনকি ডুয়েলও জেতেননি।
প্রায় একই ছবি পুরো দলেরও, ডিফেন্সের পরীক্ষা দিয়েই মূলত ম্যাচ জিতেছে তাঁরা। মায়োর্কার ছয়টা অন টার্গেট শটের বিপরীতে তাঁদের শটের সংখ্যা মাত্র দুই। কর্নার, ক্রসিং, ডুয়েল কিংবা ড্রিবলিং সবদিক দিয়েই এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু স্কোরবোর্ডেই পিছিয়ে পড়েছিল তাঁরা, ফলত শেষ হাসি আর হাসা হলো না।
যদিও হাসি চওড়া হয়েছে অ্যাতলেটিকোর সমর্থকদের, এই নিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচ জিতলো তাঁরা। পয়েন্ট টেবিলেও তৃতীয় স্থানে তাঁদের অবস্থান সুসংহত হয়েছে।