মহাগুরুত্বপূর্ণ বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অনেকটা প্রত্যাশিত ভাবেই দাপট দেখাচ্ছে ভারত। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে এই সিরিজে জিততেই হবে রোহিত শর্মার দলকে। তবে ভারতের জয়কে ছাপিয়ে যেন এখন প্রধান আলোচনার বিষয় সহ-অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের বাজে ফর্ম। দীর্ঘদিন ধরে বাজে ফর্মের মধ্য দিয়ে গেলেও লোকেশ রাহুলের ওপরই আস্থা রাখছে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে ভারতের গণমাধ্যম বলছে তৃতীয় টেস্টেই একাদশে জায়গা হারাতে পারেন রাহুল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শুবমান গিলকে একাদশের বাইরে থাকতে হওয়ায় রাহুলের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনাটা যেন একটু বেশিই। পরের দুই টেস্টের স্কোয়াডে সহ-অধিনায়ক হিসেবে লোকেশ রাহুলকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তবুও তাঁর ওপর থেকে আস্থার হাত সরাচ্ছেন না কোচ রাহুল দ্রাবিড় আর অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রাহুলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোচ এবং অধিনায়ক দুইজনই জানিয়েছেন রাহুলের সামর্থ্যের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন তারা।
যদিও আস্থা না হারানোর কারণও আছে। খুব বেশিদিন হয়নি বিদেশের মাটিতে দুর্দান্ত খেলেছেন রাহুল। বীরেন্দর শেবাগের পর দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিন আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সেঞ্চুরি আছে রাহুলের। কিন্তু বিদেশের মাটিতে ভালো করলেও সেই ফর্ম খুব বেশি ধরে রাখতে পারেননা রাহুল। যার ফল স্বরূপ ৪৭ টেস্ট শেষে তাঁর গড় মাত্র ৩৩। ভারতের এমন শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনাআপে এই গড় কিছুটা বেমানানই বটে।
শুধুমাত্র রোহিত আর রাহুল দ্রাবিড়ই নন। এর আগেও লোকেশ রাহুলের সামর্থ্যের প্রতি অগাধ আস্থা ছিলো সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও কোচ রবি শাস্ত্রির। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সিরিজেও চরম বাজে ফর্মে ছিলেন রাহুল। প্রথম চার টেস্টে রাহুলের স্কোর গুলো ছিলো এমন- ৪,১৩,৮,২৩,৩৬,১৯,০। এরপরেও সিরিজের পঞ্চম টেস্টে তাকে একাদশে রাখেন বিরাট ও শাস্ত্রি। সেই আস্থার প্রতিদানও দেন রাহুল। পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন তিনি।
যদিও পাঁচ বছর আগে পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন ছিলো বলে মনে করেন তখনকার ভারতীয় ম্যানেজার সুনীল সুব্রামনিয়ম। তামিল নাড়ুর সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আপনার বোঝা উচিত তখন রাহুল উদীয়মান তারকা ছিলো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।’
সেই সময়েও মুরালি বিজয় কিংবা শিখর ধাওয়ানদের বাদ দিয়ে সু্যোগ দেয়া হয়েছিলো রাহুলকে। তাই এখন শুবমান গিল বা পৃথ্বী শ দের মত তরুণদের সু্যোগ দেয়া উচিত বলে মনে করেন সুনীল, ‘ শুবমান গিল শুধু জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ছে না সে নিজের জায়গার দাবীটা জোড়ালো ভাবে জানাচ্ছে। সেই সাথে পৃথ্বী শও আছে। কতদিন আপনি তাদের প্রাপ্য দাবীকে অবহেলা করবেন?’