পান্ডিয়ার মতো হতে চান দীপক চাহার!

হার্দিক পান্ডিয়ার মতোই ইনজুরিতে পড়ে ক্যারিয়ারে বেশ খানিকটা সময় হারিয়েছেন দীপক চাহার। গেল বারের আইপিএলে দেশি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছিলেন। কিন্তু ইনজুরি কেড়ে নিয়েছিল পুরো মৌসুম। একই ভাবে ইনজুরির কারণে গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ছিলেন না দলে। তবে ইনজুরি কাটিয়ে এখন প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় এ পেসার। আসন্ন আইপিএলে খেলবেন। তাছাড়া, ঘরের মাটিতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপেও চোখ রয়েছে তাঁর। 

ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- এই মুহূর্তে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলে সর্বেসবা হার্দিক পান্ডিয়া। অথচ বছর দুয়েক আগের এক ইনজুরিতে তাঁর ক্যারিয়ারটাই হুমকির মুখে পড়েছিল। কিন্তু সে সব এখন অতীত। ইনজুরি কাটিয়ে দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তন। এরপর আরো পরিণত ক্রিকেটার বনে যাওয়া। আর ধারাবাহিক নৈপুণ্যে সবশেষ ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পাওয়া- অতীতের সকল দুঃসহ স্মৃতি পিছনে ফেলে সময়টা এখন হার্দিক পান্ডিয়ার।

হার্দিক পান্ডিয়ার মতোই ইনজুরিতে পড়ে ক্যারিয়ারে বেশ খানিকটা সময় হারিয়েছেন দীপক চাহার। গেল বারের আইপিএলে দেশি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছিলেন। কিন্তু ইনজুরি কেড়ে নিয়েছিল পুরো মৌসুম। একই ভাবে ইনজুরির কারণে গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ছিলেন না দলে।

তবে ইনজুরি কাটিয়ে এখন প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় এ পেসার। আসন্ন আইপিএলে খেলবেন। তাছাড়া, ঘরের মাটিতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপেও চোখ রয়েছে তাঁর।

দীপক চাহার দুই দিকে দুর্দান্ত সুইং করাতে পারেন। ভারতীয় পেসারদের মধ্যে এই বিশেষত্বের কারণেই তাঁকে আলাদা করেছে। কিন্তু ভারতের স্কোয়াডে একবার জায়গা হারালে ফিরে আসা বেশ কঠিন। সেটা দীপক চাহার নিজেও জানেন। তবে তিনি প্রসেসে বিশ্বাসী। এ নিয়ে এক গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তিনি।

সেখানে জাতীয় দল নিয়ে ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রসেসটা খুবই সাধারণ। আমি যখন ভারতের হয়ে খেলছিলাম না, তখনও একই প্রসেস অনুসরণ করতাম। এটার এখনও পরিবর্তন হয়নি। আমি যখন আমার রাজ্য দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য লড়াই করছিলাম, তখনই লক্ষ্য ধরে রাখতাম, একদিন আমি ভারতের হয়ে খেলব। সতীর্থদের সেটা বলতাম্ব। কিন্তু তারা আমার কথা শুনে হাসতো। আমি তাদের ভিতর সেই বিশ্বাসটা ঢোকাতে পেরেছি। আমি ১৪০ গতিতে বল করতে পারি, দুই দিকে সুইংও করাতে পারি। এমনকি টুকটাক ব্যাটও করতে পারি। আমি পারফরম্যান্স দিয়ে এমন একটা জায়গায় পৌছাতে চাই যেখানে সবাই আমাকে অনুসরণ করবে এবং আমি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দলে সুযোগ পাব।’

দলে দীপক চাহারের প্রধান রোলটা বোলিং হলেও বিগত বছর গুলোতে ব্যাট হাতেও বেশ আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। বছর দেড়েক আগে, তাঁর উইনিং নকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। এ ছাড়া অনেক ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংস রয়েছে। তাই চাহার নিজেও একজন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।

 

ভারতের এই দলে মূলত পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে একদম সুপ্রতিষ্ঠিত হার্দিক পান্ডিয়া। সাদা বলের ক্রিকেটে একটা ভিত্তিও বলা যেতে। দীপক চাহারও হাটতে চাইছেন সেই পথেই। তবে মানছেন দলে ঠাই পাওয়ার লড়াইটা বেশ কঠিন।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘দলে প্রতিযোগিতা অনেক কঠিন। তবে আপনাকে লড়ে যেতেই হবে। আমার কাছে ব্যাটিংটা বোনাস। আমি ছোটবেলা থেকেই ব্যাট করি। এমনকি এটার প্রতি আমার আলাদা নজরও আছে। গত বছরে আমি ব্যাট হাতে বেশ কিছু ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি রানও পেয়েছি। ‘

এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার কথা টেনে চাহার বলেন, ‘হার্দিক পান্ডিয়াকে দেখুন। সে জোরে বল করতে পারে, সুইং করাতে পারে, দুর্দান্ত ব্যাটও করতে পারে। আগামী ১ বা ২ বছরের মধ্যে তাঁর জায়গা আর কেউ নিতে পারবে না। সে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। কারণ সে তিনটাই সেরাদের ভিতরে থেকে ডেলিভার করতে পারে। তো তাঁর মতো কেউ যদি কিছু করতে পারে, তাহলে তাঁর সুযোগ মিলবেই। তাই আমি চেষ্টা করে যাব।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...