ফাফ ডু প্লেসিস, ওল্ড ইজ গোল্ড

গুজরাটের বিপক্ষে তাঁর এমন পারফরম্যান্স বহুল প্রচলিত ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ প্রবাদকেই আরো একবার মনে করিয়ে দিলো।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া নিয়ে কোন চাপ ছিল না ফাফ ডু প্লেসিসের মাথায়। চাপ থাকবেই বা কিভাবে, অনেক আগেই তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্ভার থেকেও চলতি আইপিএলের শুরুতে পারফরম করতে পারেননি, তাঁর ব্যাটে দেখা যায়নি রানের ফোয়ারা। তাই তো শঙ্কা জেগে উঠেছিল তাঁকে ঘিরে।

তবে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে পুরনো রূপে ফিরেছেন এই ব্যাটার, শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে দিয়েছেন এক পলকে। তিনি যে এখনো ফুরিয়ে যাননি সেটাই বুঝিয়ে দিলেন। বহুল প্রচলিত ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ প্রবাদকেই আরো একবার মনে করিয়ে দিলো তাঁর এমন পারফরম্যান্স।

গুজরাটের ছুঁড়ে দেয়া মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন এই ওপেনার; স্রেফ ২৩ বল মোকাবিলা করেই তুলেছেন ৬৪ রান। তিন ছক্কার বিপরীতে দশ দশটি চার হাঁকিয়েছেন তিনি, অর্থাৎ তাঁর ইনিংসে ৫৮ রানই এসেছে বাউন্ডারির সাহায্যে।

জসুয়া লিটলের এক ওভার থেকে ২০ রান আদায় করছিলেন ডু প্লেসিস, সেই শুরু। এরপর পাওয়ার প্লের বাকিটা সময় একতরফা শাসন করেছেন প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপের প্রত্যেককে। মোহিত শর্মার মত ইকোনমিক্যাল বোলারের এক ওভারে চারটি চার হাঁকিয়েছিলেন তিনি। তাই তো হাফসেঞ্চুরির জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে, মাত্র ১৮ বলেই মাইলফলক পূর্ণ হয় তাঁর।

ব্যাঙ্গালুরুর ইতিহাসে এটিই দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড, এর আগে ১৭ বলে ফিফটি করেছিলেন ক্রিস গেইল। যাহোক, জয়ের সমীকরণ সহজ করে দেয়ার পর আর স্থায়ী হননি প্রোটিয়া তারকা। ষষ্ঠ ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুুরু ইতোমধ্যে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে একটা জয় বাদ দিলে টানা হারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁদের। সেটার দায় এই ডানহাতির ওপরেও বর্তায় কিছুটা, সেজন্যই হয়তো গুজরাটের বিপক্ষে তাঁর বিধ্বংসী ইনিংস কেবলই আক্ষেপ বাড়াবে সমর্থকদের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...