আর্জেন্টিনার হয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ জিতেছেন, ফাইনালে গোল করেছেন। ক্যারিয়ারের শেষ বেলাতেও পৌঁছে গেছেন। তবে, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া থামতে চান না এখানেই।
আর্জেন্টাইন এই তারকা বলছেন, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করুক বা না করুক, মৌসুম শেষে জুভেন্টাস ছেড়ে যাবার কোন ইচ্ছা তার নেই। যতটুকু সম্ভব সেরা অবস্থান নিয়েই ঘরোয়া মৌসুম শেষ করতে চান তিনি।
সেভিয়ার বিপক্ষে আসন্ন ইউরোপা লিগের সেমি ফাইনালের প্রথম লেগ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন এই উইঙ্গার বলেন তুরিনের জীবন আশানুরুপ ছিল না। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছেন।
নিজেকে ফিরে পাবার পুরো কৃতিত্বই জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রিকে দিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী ওই তারকা। যিনি তাকে ক্রমেই স্কোয়াডে মানিয়ে নিতে সহায়তা করার পাশাপাশি সিরি ‘এ’ লিগের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে পারদর্শী করে তুলেছেন।
ডি মারিয়া বলেন,‘আমি অনেক সেরা কোচের সহায়তা পেয়েছি। তবে অ্যালেগ্রির সঙ্গে আমি বেশ খুশি আছি। তিনি বিশেষ এক কোচ। তিনি আমাদেরকে অনেক কাজ করতে শিখিয়েছেন তবে ভিন্ন পন্থায়, যেটির সঙ্গে এর আগে আমার পরিচয় ঘটেনি। এখন আমি নিজেকে গড়তে পারছি এবং আশা করছি আমি ভালো অবস্থানে পৌঁছে যাব।’
বাস্তবতা বুঝতে পারছেন তিনি। বললেন, ‘বাস্তবতা হলো শুরুতে আমাকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। আমি ইনজুরিতে পড়েছিলাম এবং নিজের শতভাগ দিতে পারিনি। এতে নিজের যোগ্যতা প্রমান করা কঠিন হয়ে উঠেছিল। এখন আমি এই কোচের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছি এবং অনেক বেশী আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছি। এখন আরো জয় পেতে হবে এবং সমর্থকদের জন্য হলেও আমাদেরকে শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করতে হবে।’
আগামী মৌসুমেও আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় খেলতে চায় কিনা প্রশ্ন করা হলে জবাবে ডি মারিয়া বলেন, ‘দল (আগামী) চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারুক বা না পারুক আমার মনের কোন পরিবর্তন হবে না।’
এখনো জয় করতে না পারা ইউরোপা লিগের ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু জানতে চাইলে ৩৫ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকা বলেন, ‘এটি সত্যি যে এরআগে একবার শুধু বেনফিকার হয়ে আমি এই ট্রফির লড়াইয়ে অংশ নিয়েছি। ট্রফিটি আমি সত্যি মিস করছি। আমি এখন এটি জয়ের দিকেই বেশী মনোযোগী। আমার কাছে সব ট্রফিই গুরুত্বপুর্ণ।’