আরেক চূড়ার হাতছানি

আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া মিরপুর টেস্টে অবশ্য তাঁর খেলা মোটামুটি নিশ্চিত। মিরপুর টেস্ট সাকিবকে অনন্য এক মাইলফলকের হাতছানি দিচ্ছে। এই টেস্টে সাকিবের সামনে সুযোগ থাকবে কিংবদন্তি অলরাউন্ডার গ্যারি সোবার্সের রেকর্ড ভাঙার।

বাংলাদেশের অনুশীলনের নির্ধারিত সময় ছিল দুপুরে। তবে সেই সকাল থেকেই ইনডোরের নেটে অনুশীলনে নেমে পড়লেন সাকিব আল হাসান। মাঝে কোভিড টেস্টের নমুনা দিলেন। পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ আসার পর এবার দলের সাথে অনুশীলনে যোগ দিলেন। এইছিল গতকাল মিরপুরে অনুশীলনের চিত্র। পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টকে সামনে রেখে ভীষণ সিরিয়াস এই অলরাউন্ডার।

অবশ্য প্রথম টেস্টেও খেলার কথা ছিল সাকিবের। তবে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি চট্টগ্রাম টেস্ট। আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া মিরপুর টেস্টে অবশ্য তাঁর খেলা মোটামুটি নিশ্চিত। মিরপুর টেস্ট সাকিবকে অনন্য এক মাইলফলকের হাতছানি দিচ্ছে। এই টেস্টে সাকিবের সামনে সুযোগ থাকবে কিংবদন্তি অলরাউন্ডার গ্যারি সোবার্সের রেকর্ড ভাঙার।

এই রেকর্ড করার সুযোগ অবশ্য সাকিবের সামনে আগে থেকেই ছিল। তবে মাঝে নিষেধাজ্ঞার কারণে এক বছর কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারেননি। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তবে সেখানে ছুতে পারেননি মাইলফলকটি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে এই টেস্টে মাত্র ৬৭ রান করলেই অনন্য এক রেকর্ড করে ফেলবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। টেস্টে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ৪০০০ রান ও ১৫০ উইকেটের মালিক হবেন তিনি। এখন পর্যন্ত এই মাইলফলকটি সবচেয়ে দ্রুত স্পর্শ করেছেন গ্যারি সোবার্স। টেস্টে ৪০০০ রান ও ১৫০ উইকেট নেয়ার জন্য তিনি খেলেছেন মোট ৬৩ ম্যাচ।

ওদিকে সাকিব আগামীকাল খেলতে নামবেন নিজের ৫৯ তম টেস্ট ম্যাচ। এই ম্যাচে মাত্র ৬৭ রান করলেই তাঁর ঝুলিতে থাকবে ৪০০০ টেস্ট রান। এছাড়া বল হাতে তো তাঁর ঝুলিতে ২১৫ উইকেট আছেই। এখন দুই ইনিংস মিলে প্রয়োজন শুধু ৬৭ টি রান। তাহলেই গ্যারি সোবার্সকে টপকে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন সাকিব আল হাসান।

সাকিব এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে মোট ৫৮ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে ৪০ ছুঁই ছুঁই গড়ে তাঁর ঝুলিতে আছে ৩৯৩৩ রান। এছাড়া আর ৬৭ রান করলে তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৪০০০ রানের মালিক হবেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম ৪ হাজার রান করতে পেরেছিলেন।

ওদিকে বিশ্বক্রিকেটে ৪০০০ রান ও ১৫০ উইকেট নিয়েছেন এমন কয়েকজন অলরাউন্ডারও আছেন। গ্যারি সোবার্সের পর বেন স্টোকস করতে সময় নিয়েছেন মোট ৬৪ ম্যাচ। এছাড়া স্যার ইয়ান বোথাম ও জ্যাক ক্যালিস করেছেন ৬৯ ম্যাচে। ওদিকে কাপিল দেব ও ড্যানিয়েল ভেট্টরি যথাক্রমে করেছেন ৯৭ ও ১০১ ম্যাচে।

ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এই তালিকার সবার উপরে উঠার সুযোগ আছে সাকিব আল হাসানের সামনে। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার এই আগেও এমন পাহাড়সম সব রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। সাকিব টেস্ট খেলতে নামা মানেই যেন গ্যারি সোবার্স, ইয়ান বোথাম, ইমরান খানদের পাশে নাম লেখানো। পাকিস্তান টেস্টেও এমনই এক মাইলফলককে সামনে রেখে মাঠে নামবেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেট তারকা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...