কি করলেন ক্যাসেমিরো ! দল পিছিয়ে আছে দুই গোলের ব্যবধানে, আর তিনি পেয়ে গেলেন লিড কমানোর সহজতম সুযোগ। ফ্যাবিয়ান স্ক্যারের ভুলে বিপদজনক জায়গায় বল পেয়েছিলেন মাইনো, সেখান থেকে তিনি পাস বাড়ান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের দিকে। প্রায় ফাঁকা পোস্ট, গড়পড়তা শট নিলেও গোল – কিন্তু তিনি মিস করলেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বোধহয় নিজেদের ভাগ্যকেও বিশ্বাস করতে পারছে না। করবেই বা কি, কত কিছু ঘটছে তবু বদলাচ্ছে না তাঁদের দু:খ গাঁথা। ক্যাসেমিরো যেভাবে গোল হাতছাড়া করেছেন সেভাবেই দিনের পর দিন জয় হাতছাড়া করে চলছে তাঁরা।
নতুন নতুন কোচ, ট্রান্সফার উইন্ডোতে একগাদা অর্থ খরচ – ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সৌভাগ্য ফিরছে না। নিউক্যাসেল ইউনাইটেড অবশ্য রেড ডেভিলদের কিছু করার সময়টুকুই দেয়নি। স্রেফ চার মিনিটের মাথায় অ্যালেক্সান্ডার ইসাক দারুণ একটা হেডারে দলকে এগিয়ে দেন। এই নিয়ে ২০২৩ সালের পর থেকে ঘরের মাঠে সপ্তম বারের মত পাঁচ মিনিটের আগেই গোল হজম করলো ম্যান ইউনাইটেড।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুনরায় আঘাত হানেন জোয়েলিন্টন। মার্কার লিসান্দ্রো মার্টিনেজকে ফাঁকি দিয়ে গর্ডনের ক্রস থেকে আসা বলটা জালে পাঠান দেন তিনি। পরের কিছু মিনিট যেন ঝড় বইয়ে গেলো, একটার পর একটা বল হানা দিলো স্বাগতিকদের গোলমুখে। তবে ভাগ্য আর আন্দ্রে ওনানার দৃঢ়তায় কোন রকম রক্ষা পায় তাঁরা।
সম্ভবত ম্যানচেস্টার সিটির দু:স্বপ্ন খুঁজে নিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেও। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর পর থেকেই মূলত দু:সময়ের শুরু তাঁদের, ডার্বি জয়ের পর টানা চার ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেলো তাঁরা।
পিটার ড্রুরির এদিন রেড ডেভিল সমর্থকদের জন্য বলেছিলেন, ‘এনাদার নাইট অব ডিলিউসনমেন্ট’ – সত্যিই তাই, টানা ব্যর্থতায় একটা ডিলিউসনের মধ্যে আটকা পড়েছে তাঁরা। তবে এই ডিলিউসনের শেষ কোথায় সেটা জানা নেই কারোই।