এরিক টেন হ্যাগের বিদায়ের পর থেকে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সমর্থকেরা বোধহয় ধরেই নিয়েছিল ভাল সময় বুঝি শুরু হয়েছে; তবে আর্সেনাল যেন বাস্তবতা বুঝালো তাঁদের।
রুবেন আমোরিম নিজেও পরাজয়ের স্বাদ ভুলতে বসেছিলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে স্পোর্টিং সিপির কোচ হিসেবে লিগ ম্যাচ হেরেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই লিগে অপরাজিত তিনি। কিন্তু এক বছর তাঁর সেই ধারার ছেদ পড়লো।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল গানার্সরা, কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। তবে প্রথমার্ধে সেরকম কিছুই হয়নি; কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিটের মাথায় ইউনাইটেডের প্রতিরোধ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন জুরিয়ান টিম্বার। ডেকলাইন রাইসের বাঁকানো কর্নার কিক থেকে হেডে গোল করেন তিনি।
অবশ্য ডেড বল সিচুয়েশন থেকে গোল করা দলটার জন্য নতুন কিছু নয়। কখনো রাইস, কখনো ওডেগার্ড আবার কখনো বুকায়ো সাকার নিখুঁত সেট পিস খুঁজে নেয় গ্যাব্রিয়েল, স্যালিবাদের।
ঠিক যেমনটা নিয়েছে ৭৩ মিনিটের সময়, সাকার কর্নার সোজা উড়ে আসে থমাস পার্টের কাছে। তাঁর দুর্ধর্ষ হেডার স্যালিবার পিঠ ছুঁইয়ে আশ্রয় নেয় জালে – দ্বিগুণ হয় আর্সেনালের লিড। সেই সাথে ম্যাচ জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায়।
কর্নার কিকে আর্সেনাল কতটা শক্তিশালী, পরিসংখ্যানও সেটার সাক্ষ্য দেয়। গত মৌসুমের শুরু থেকে এই নিয়ে ২২ গোল আদায় করে নিয়েছে তাঁরা, এর মধ্যে দশ গোল ছিল ম্যাচের প্রথম গোল। বলার অপেক্ষা রাখে না, কর্নার থেকে গোল করার ক্ষেত্রে তাঁদের আগে নেই আর কোন দলই।
অন্যদিকে রেড ডেভিলদের কেউই সেরকম ইম্প্যাক্ট রাখতে পারেনি। ব্রুনো ফার্নান্দেজ কিংবা আলেহান্দ্রো গার্নাচো কেউই কঠিন পরীক্ষা নিতে পারেননি আর্সেনালের। এর ফলে টেবিল টপার লিভারপুলের সঙ্গে তাঁদের পয়েন্ট ব্যবধান কমে সাতে এসে নামলো।