আর্শদ্বীপে শুরু, আর্শদ্বীপেই শেষ

সেখানেই বরং বাংলাদেশ দলের সার্বিক পরিস্থিতির একটা পূর্বাভাস মিলে যায়। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে সেই পূর্বাভাসকে সত্যিতে রুপান্তরিত করার কাজটা করেন আর্শদ্বীপ। 

টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল আর্শদ্বীপ সিংয়ের। কিন্তু তিনি সেটা পাননি। একটা আক্ষেপ পুষে রেখেছিলেন তিনি। সেই আক্ষেপ উগড়ে দিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। বাংলাদেশের টপ অর্ডারে প্রথম আঘাতটাই করেন তিনি। আর তাতেই বাংলাদেশের পরিকল্পনা মাটিতে মিশে যায়।

এদিন আর্শদ্বীপ উইকেট শিকারের যাত্রা শুরু করেন লিটন দাসকে দিয়ে। পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান তুলতে চেয়েছিলেন লিটন। তাইতো প্রথম ওভারে আগ্রাসী মনোভাবে ব্যাট চালান লিটন। কিন্তু আর্শদ্বীপের ফাঁদে মুখ থুবড়ে পড়েন লিটন। মিডউইকেট অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারি আদায় করতে চাইলেন লিটন।

তবে ব্যাটের সাথে বলের সংযোগ ঘটেনি। আকাশ পানে উঠে যাওয়া বলকে বাইশ গজের পাশ থেকে তালুবন্দী করেন রিঙ্কু সিং। সেখানেই বরং বাংলাদেশ দলের সার্বিক পরিস্থিতির একটা পূর্বাভাস মিলে যায়। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে সেই পূর্বাভাসকে সত্যিতে রুপান্তরিত করার কাজটা করেন আর্শদ্বীপ।

তরুণ ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমনকে বোল্ড আউট করেন আর্শদ্বীপ। ইনসাইড এডজ হয়ে বল উপড়ে ফেলে উইকেট। দুর্ভাগা ইমনের ইনিংসটি লম্বা আর হতে পারেনি। উইকেট শিকারের শুরুটা করেছিলেন আর্শদ্বীপ। শেষটাও তিনিই করেন।

ইনিংসের শেষের আগের বলে বোল্ড করেন মুস্তাফিজুর রহমানকে। তাতে করে তার নামের পাশে যুক্ত হয়ে যায় তিনটি উইকেট। তাছাড়া বল হাতে বেশ কৃপণতার পরিচয় দিয়েছেন আর্শদ্বীপ। মাত্র ১৪ রান খরচা করেছেন ২৩টি বল করে। বা-হাতি এই পেসারের মাহাত্ম্য সম্ভবত এখানেই।

তিনি একাধারে উইকেট যেমন নিতে পারেন, তেমনি রান শুকিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের পিপাসায় অতিষ্ঠও করে তুলতে জানেন। আর এই কাজটা লাল বল হাতেও করবার প্রচণ্ড ইচ্ছে তার। ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে নিশ্চয়ই সে সুযোগও পেয়ে যাবেন আর্শদ্বীপ।

Share via
Copy link