পাকিস্তানি গ্রেটদের মধ্যে এই সময়ে একটু বেশিই সরব শহীদ আফ্রিদি। আর তাঁর এই সরব হওয়ার অধিকাংশটাই আসলে অভিযোগ আর অনুযোগ। এবার যেমন তাঁর রোষের মুখে পড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সাবেক এই পাকিস্তানি অধিনায়কের মতে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দেওয়া হাইব্রিড মডেলের অহেতুক বিরোধীতা করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ম্যাচ খেলতে অজুহাত দেখিয়েছে বিসিবি। যদিও, বিসিবির সংশ্লিষ্টরা বরাবরই বলেছেন যে, এশিয়া কাপ যখন যেভাবেই হোক না কেন খেলতে আপত্তি নেই বাংলাদেশের।
পাকিস্তানের প্রস্তাব অনুযায়ী ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আর সেপ্টেম্বরে আমিরাতে প্রচণ্ড গরম। ফলে, আবহাওয়া এখানে এশিয়া কাপ আয়োজনের একটা বাঁধার কারণ হতে পারে। গরমের এই ঝুঁকিটা শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দল নিতে চায় না বলে বলে জানায় ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজ।
‘বুমবুম খ্যাত’ আফ্রিদি সেই খবর যাচাই না করেই সমালোচনা করেছেন সংশ্লিষ্ট বোর্ড ও খেলোয়াড়দের। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি পেশাদার ক্রিকেটার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে খেললে চলবে না। শারজায় সকাল ১০টায় আমরা ম্যাচ খেলেছি। বাউন্ডারি লাইনের কাছাকাছি যাওয়ার সময় আমাদের খুব ক্লান্ত লেগেছিল। এরকম গরমই থাকত সব সময়। এমনটা হবেই। একই সঙ্গে তাতে আপনার ফিটনেস লেভেল কেমন তারও পরীক্ষা হবেই।’
আফ্রিদি মনে করেন, গরমের ইস্যুটা হল স্রেফ একটা অজুহাত। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আরব আমিরাতে খেলতে না চাওয়ার জন্য গরমকে টেনে আনেন, তাহলে সেটাকে অজুহাত ছাড়া আসলে আর কিছুই বলার নেই।’
শেষ অবধি অবশ্য আফ্রিদির কথায় কোনো যায়-আসছে না। আয়োজক হওয়ার পরও সম্ভবত ২০২৩ সালের এশিয়া কাপটা সরেই যাচ্ছে পাকিস্তান থেকে। কারণ, ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) পাকিস্তানে খেলবে না।
আবার হাইব্রিড মডেলেও তাঁদের আপত্তি। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ভারতের পছন্দ শ্রীলঙ্কা। আর শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ চলে গেলে তাতে খেলবে না পাকিস্তান। আর পাকিস্তান না খেললে তাঁদের জায়গায় খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তবে, এখনও এই ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা বা সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ভারত ও পাকিস্তান – দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্ততার চেষ্টা করে যাচ্ছে।