নব্বইয়ের এশিয়া-বিশ্ব একাদশ লড়াই যদি ফিরে!

সাদা কোকাবুরা বল টা নিয়ে ম্যাকগ্রা ছুটে আসছেন, ব্যাট হাতে তৈরি শচীন, ভরা ইডেনের গ্যালারিতে উত্তেজনা তুঙ্গে অথবা মুরলীধরণের স্পিনের জালে একে একে ফিরে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা, অপরপ্রান্তে ব্যাট হাতে তাণ্ডব নৃত্য চালাচ্ছেন ব্রায়ান লারা। এগুলো আবার ফিরে দেখতে ইচ্ছে হয়?

সাদা কোকাবুরা বল টা নিয়ে ম্যাকগ্রা ছুটে আসছেন, ব্যাট হাতে তৈরি শচীন, ভরা ইডেনের গ্যালারিতে উত্তেজনা তুঙ্গে অথবা মুরলীধরণের স্পিনের জালে একে একে ফিরে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা, অপরপ্রান্তে ব্যাট হাতে তাণ্ডব নৃত্য চালাচ্ছেন ব্রায়ান লারা। এগুলো আবার ফিরে দেখতে ইচ্ছে হয়?

যদি হয় চলুন টাইম মেশিনে চড়ে ফিরে যাই বছর কুড়ি আগের কোনো একটা সময়ে, যেখানে এশিয়া একাদশ দলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শচীন, আকরাম, জয়াসুরিয়ারা মোকাবিলা করবে বিশ্ব একাদশের পন্টিং, লারা, ক্যালিস দের। ক্রিকেট পিপাসুদের ফ্যান্টাসিতেই তৈরি হয়ে যাক দুটো সেরা একাদশ, যাঁরা পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলবে বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশে পাঁচটি সেরা মাঠে। কোন কোন মাঠ সে ব্যাপারে নয় পরে আলোকপাত করা যাবে, আগে সাজিয়ে নেওয়া যাক দল দুটো।

শুরুতেই আসা যাক এশিয়া একাদশ প্রসঙ্গে। এখানে ওপেনিংয়ে প্রথম নামটা চোখ বুজেই বলে দেওয়া যায়, হ্যাঁ সচিন রমেশ তেন্ডুলকর, তাঁর সম্পর্কে আর নতুন করে কিছু বলার কারণ দেখি না। এবার তেন্ডুলকরের সাথে ওপেনিং জুটির দ্বিতীয় ব্যক্তি কে নিয়েও খুব বেশি ভাবার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না।

একদিনের ক্রিকেটে প্রথম ১৫ ওভারে ব্যাটিংয়ের সংজ্ঞা বদলে দেওয়া লঙ্কা ক্রিকেটের সূর্য, সনাথ জয়াসুরিয়া। বাঁ হাতি – ডানহাতি এই ওপেনিং কম্বিনেশন শুরু তে যদি ঝড় তোলে বিশ্বের যেকোনো বোলিং আক্রমণ তখন ই কেঁপে যাবে, ১৫ ওভার এই জুটি দাঁড়িয়ে গেলেই ম্যাচের রাশ এশিয়ার হাতে।

এবার আসা যাক মিডল অর্ডারে, তিন নম্বরে দল কে নির্ভরতা দেবেন তেন্ডুলকরের প্ৰিয় পার্টনার সৌরভ গাঙ্গুলী, একদিনের ক্রিকেটে সর্বকালের অন্যতম সেরা দের কাতারে পড়েন তিনি, এ দলের অধিনায়ক ও তিনিই। প্রথম দিকে উইকেট পড়লে সেটা সামলে দেওয়া বা পরে স্পিনার দের বাউন্ডারির বাইরে ‘বাপি বাড়ি যা’ শটে ছুঁড়ে ফেলতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এবার যদি খুব তাড়াতাড়ি দুটো উইকেট চলে যায়? বাঁচাবে কে?

কেন আছেন যে ‘ম্যাড ম্যাক্স’ অরবিন্দ ডি সিলভা, যেভাবে ‘৯৬ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালে কুম্ভ হয়ে উঠেছিলেন, তাই চার নম্বরে থাকুক ডি সিলভা ই, বল হাতে অফস্পিন ও ভরসা জোগাবে দল কে। পাঁচ নম্বরে থাকুক মিস্টার ডিপেন্ডেবল রাহুল দ্রাবিড়। ভারতকে বহু একদিনের ম্যাচে মাঝের ওভারে ব্যাট হাতে ভরসা জুগিয়েছেন তিনি, এবার এশিয়া দল কেও দিতে হবে, আর সৌরভ যখন অধিনায়ক উইকেট কিপারের দায়িত্বটা এদলের দ্রাবিড়ের ওপরই বর্তাবে।

কারণ যে সময়ে খেলাটা হচ্ছে তখন ও কোনো এম এস ধোনি কে দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব, বা সাঙ্গাকারা লঙ্কা ক্রিকেটের মহীরুহ হননি, অগত্যা উইকেটের পেছনে সেই দ্রাবিড়ই। ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে কামাল করার জন্য থাকছেন ‘ইনজি’, মানে পাকিস্তানের বরাবরের ভরসার ব্যাট ইনজামাম উল হক, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু ব্যাটে বলে হলেই হলো, বল উড়ে যাবে গ্যালারিতে।

ম্যাচ ফিনিশ করতেও তিনি সিদ্ধহস্ত, তাই ছয় নম্বরে ইনজির থেকে ভালো আর কেউ হয়না, শুধু রান আউট টা না হলেই হলো! এবার দরকার এমন এক অলরাউন্ডার ৭নম্বরে যিনি ব্যাট হাতে স্লগ ওভারে ঝড় তুলতে পারেন আর বোলিংয়ে গোটা ছয়েক ওভার করে দেবেন। এক্ষেত্রে তুরুপের তাস হতে পারেন আব্দুল রাজ্জাক, পাক দল কে অনেক ম্যাচ ব্যাট বা বলে জিতিয়েছেন তিনি।

এশিয়া দলের বোলিং ব্রিগেডে যাঁর নামটা সবার আগে আসবে তিনি হলেন ‘সুইং অফ সুলতান’ ওয়াসিম আক্রম, ব্যাটের হাত ও মন্দ নয়,আট নম্বরে আসবেন তিনি, আর তাঁর সাথে বোলিং শুরু করবেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা পেসার বলা যায় যাকে, সেই চামিন্ডা ভাস।

দুই বাঁহাতি পেস বোলারের সঙ্গী হবেন ‘বুরেওয়ালা এক্সপ্রেস’ ওয়াকার ইউনুস। একদিনের ক্রিকেটে ৫ উইকেট যাঁর কাছে জলভাত। এই তিন মুর্তি যেকোনো ব্যাটিং লাইন আপের মাথা টা যদি তুলে নিতে পারে, বাকি কাজ টা সারার জন্য প্রস্তুত মুত্তিয়া মুরলীধরণ, যাঁর অফব্রেক আর দুসরা বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের চোখে সর্ষে ফুল ধরাতে যথেষ্ট।

প্রথম একাদশের পর রিজার্ভ বেঞ্চে যাঁরা থাকবেন তাঁরাও কম যান না। পাক দলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ওপেনার সৈয়দ আনোয়ারের জায়গা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, শচীন বা জয়সুরিয়াকে বিশ্রাম দেওয়া হলে তিনি দলে ঢুকবেন নির্দ্বিধায়, অতিরিক্ত উইকেট কিপার ব্যাটার হিসাবে মঈন খান কেও রাখা যায়।

বোলিংয়ে কোনোদিন যদি টার্নিং ট্র্যাক থাকে মুরালিধরণের সাথে অনিল কুম্বলেকে জুড়ে দিলে কোনো সমস্যা নেই, আর পেসার দের বিকল্প হিসাবে জাভাগল শ্রীনাথ তো রইলেনই। আর যেহেতু এশিয়া স্পিনার দের আঁতুরঘর, আর একজন স্পিনার দলে রাখলে কেউ আপত্তি করবেন না, যদি তাঁর নাম হয় সাকলাইন মুশতাক।

তাহলে এশিয়ার পুরো দল দেখে নেওয়া যাক

শচীন টেন্ডুলকার, সনাথ জয়াসুরিয়া, সৌরভ গাঙ্গুলি (অধিনায়ক), অরবিন্দ ডি সিলভা, রাহুল দ্রাবিড়, ইনজামাম ‍উল হক, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাস, ওয়াকার ইউনুস ও মুত্তিয়া মুরালিধরন।

অতিরিক্ত: সাঈদ আনোয়ার, জাভাগাল শ্রীনাথ, অনিল কুম্বলে, মঈন খান ও সাকলাইন মুশতাক।

এবার এশিয়া বিরুদ্ধে খেলবেন কারা তাদের দিকেও আলোকপাত করা যাক, অর্থাৎ বিশ্ব একাদশে। ওপেনার হিসাবে এ দলে শুরু করবেন দুই অস্ট্রেলিয়ানই, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আর মার্ক ওয়াহ। শুরুতেই বিপক্ষের বোলিং আক্রমণ ছিঁড়ে খেতে এনাদের বিকল্প নেই। উইকেট কিপিংয়ের দায়িত্ব ও সামলাবেন গিলক্রিস্ট।

প্রথম উইকেট পড়লেও আগমন আবার এক অস্ট্রেলিয়ান এরই, রিকি টমাস পন্টিং। ওয়াকার ইউনুসকে পুল শটে আছড়ে ফেলতে পন্টিংয়ের জুড়ি মেলা ভার। চার নম্বরে নামটাও চোখ বুজেই লিখে দেওয়া যায় এশিয়ার ওপেনিংয়ের মত। ক্যারিবিয়ান রাজপুত্র ব্রায়ান চার্লস লারা, মুডে থাকলে যাঁর সামনে সব বোলিংই ছাড়খার হয়ে যেতে পারে।

মুরালির বিরুদ্ধে তাঁর ডুয়েল জমবে দারুণ। পাঁচ নম্বরে থাকবেন ভরসার শেষ কথা জ্যাক ক্যালিস। তাঁর জমাট রক্ষণ এশিয়ান স্পিনশক্তির বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে উঠতে পারে, সঙ্গে থাকছে ৭/৮ ওভার হাত ঘোরানো বা স্লিপ ক্যাচিংয়ে নির্ভরতার হাত, সবমিলিয়ে প্যাকেজ হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ‘মিস্টার ক্রিকেট’ জ্যাক ক্যালিস, বিশ্ব একাদশেও ভরসার হাত।

বিশ্ব একাদশে ম্যাচ ফিনিশের দায়িত্ব থাকবে দুজনের হাতে, একজন ঠান্ডা মাথায় এক প্রান্ত সামলে দেবেন, এ দলের নেতাও তিনি, অবশ্যই স্টিফেন রজার ওয়াহ, আর অন্যজন কে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিনিশার বলা হয়, হ্যাঁ অনন্য মাইকেল বেভান, নামবেন ৭ নম্বরে, বহু কঠিন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া কে বৈতরণী পার করে দিয়েছে বিভানের চওড়া ব্যাট, ব্যাটিং গড় তো আর এমনি এমনি ৫০ এর ওপরে নয়।

বিশ্ব একাদশের বোলিং ব্রিগেডে যদি এবার তাকানো যায় তো এ বলে আমায় দেখ আর ও বলে আমায় দেখ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বোলিং ওপেন করা শন পোলক এদলেরও বল হাতে বড়ো ভরসা, সঙ্গে ব্যাট হাতে তাঁর হার্ড হিটিং ক্ষমতা। নয় নম্বরে জায়গাটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, ঘূর্ণির অপর নাম সেখানে ওয়ার্নি, হ্যাঁ, শেন ওয়ার্ন। ও দলে যদি মুরালি থাকে তো এ দলে ওয়ার্ন!

জাদুকর যে দুজনেই। বিশ্ব একাদশে এবার ফাস্ট বোলিংয়ের মূল দায়িত্ব টা যে দুজনের ওপর বর্তাবে তার একজন হলেন ‘শ্বেত বিদ্যুৎ’ খ্যাত অ্যালান ডোনাল্ড আর একজন ‘পিজিয়ন’ খ্যাত গ্লেন ম্যাকগ্রা। বিপক্ষ ব্যাটিং এ রাতের ঘুম ওড়াতে আর কি চাই। শচীন, সৌরভরা তৈরি তো।

বিশ্ব একাদশের রিজার্ভ বেঞ্চেও যাঁরা থাকবেন তাঁরা যেকোনো দিন মূল দলে ঢুকতে পারেন। ব্যাটিং ও উইকেট কিপিং এ বিকল্প হাত হিসাবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ‘ভোরের ফুল’ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার থাকছেন, স্পিনারদের বিপক্ষে তাঁর রিভার্স সুইপ আজও ভোলার নয়। দলে তাঁর মহাদেশের আরেক বিখ্যাত অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজনারকে দলে ঠাঁই না দিলে অন্যায়ই হবে, দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনার, আবার ’৯৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় বলে কথা।

অতিরিক্ত অলরাউন্ডার হিসাবে নিউজিল্যান্ডের ক্রিস কেয়ার্নস কে ভুললে চলবে না, তিনিও ক্লুজনারের থেকে কম যান না, এদলে অতিরিক্ত স্পিনার না রেখে স্পিনার অলরাউন্ডার থাকলে কেমন হয়। সমাধান হিসাবে হাজির ‘গায়ানার রাজপুত্র’ কার্ল হুপার, একদিনের ক্রিকেটে মিডল অর্ডারে তাঁর চওড়া ব্যাট আর উপযোগী অফব্রেক বিপক্ষের সর্বদা চিন্তার বিষয়।

আর অতিরিক্ত পেসার হিসাবে ইংরেজ পেসার ড্যারেন গফ মন্দ হবেন বলে মনে হয়না। ইংরেজদের একজন ও যদি দলে না থাকে ক্রিকেট ও দুঃখ পাবে, যতই হোক খেলাটার উৎপত্তি তো তাদের দেশ থেকেই।

তাহলে বিশ্ব একাদশে দল টা কেমন দাঁড়ালো দেখে নেওয়া যাক

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, মার্ক ওয়াহ, রিকি পন্টিং, ব্রায়ান লারা, জ্যাক ক্যালিস, স্টিভ ওয়াহ (অধিনায়ক), মাইকেল বেভান, শন পোলক, শেন ওয়ার্ন, অ্যালান ডোনাল্ড ও গ্লেন ম্যাকগ্রা।

অতিরিক্ত: অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, কার্ল হুপার, ল্যান্স ক্লুজনার, ক্রিস কেয়ার্নস ও ড্যারেন গফ।

দুই দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব জন বুকানন আর বব উলমারের মধ্যে ভাগ হয়ে যাক। বিশ্বসেরা দের খেলা হচ্ছে আর সেখানে উলমার থাকবেন না তা কখনো হয় নাকি? এশিয়া একাদশের কোচিংএ ফিরে আসুন উলমার, আর বিশ্ব একাদশের দায়িত্ব বুকাননের হাতেই থাক, স্টিভের সাথে বুকাননেরই জমবে। ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড কেই মানাবে ভালো।

হ্যাঁ এবার মাঠে বল পড়ার পালা। এত সব তোড়জোড়, তা বল গড়াবে কোন মাঠে। যেহেতু পাঁচটি ম্যাচ হবে, হোক না তা বিশ্বের সেরা পাঁচটি মাঠে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড তো থাকবেই, প্রথম একদিনের ম্যাচ এ মাঠেই হয়েছিল, আমাদের ভারতে ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্সে এক লক্ষ মানুষ ও এই ম্যাচ থেকে বঞ্চিত হবেন না।

ক্রিকেটের মক্কা লর্ডস বিশ্বের সেরা দের দেখতে পাবে না, তা কি হয় নাকি? লর্ডস তো থাকছেই, আর বাকি দুটো ম্যাচ হয়ে যাক জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম আর ঐতিহাসিক মাঠ ত্রিনিদাদের কুইন্স পার্ক ওভালে। শুনেই রোমাঞ্চ হচ্ছে তো!

এত খেলোয়াড়ের মেলায় কমেন্ট্রি বক্সেও তো দরকার চাঁদের হাট। ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠস্বরই তো খেলাকে অন্য মাত্রা দেয়। উলমার যদি কোচিংয়ের দায়িত্বে ফিরতে পারেন, তাহলে স্বর্গ থেকে নেমে এসে এই ধরণীতে তাঁদের কণ্ঠস্বর এর মাদকতায় আবার ভরিয়ে দিক না টনি গ্রেগ, রিচি বেনো, টনি কোজিয়ার রা। যাঁদের কণ্ঠস্বর শুনলে মনে হয় ক্রিকেট দেখাটাই স্বর্গ! সঙ্গে থাকুন সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী বা ‘ইয়র্কশায়ারের বুড়ো’ জেফ্রি বয়কট, আর মাইকেল হোল্ডিং, ব্যারি রিচার্ডস, বিল লরিরা।

আবার জমে উঠুক গাঙ্গুলি-স্টিভ ওয়াহ দ্বৈরথ, এবার কি ইডেনে টসের সময় স্টিভকে দাঁড় করিয়ে রাখবেন সৌরভ? সময় ই বলবে সেকথা। বিশ্ব সেরা ক্রিকেটাররা লড়ুক আবার। ভরা গ্যালারি আবারো তাঁদের বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায়। ইডেন গার্ডেন্সে টিকিট দেওয়া শুরু হলো বলে, তৈরি তো ক্রিকেটপ্রেমীরা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link