গ্রিজম্যান হাত ধরে অ্যাটলেটিকোর প্রত্যাবর্তন কাব্য

দ্বিতীয়ার্ধেও গ্রিজম্যানকে দমিয়ে রাখতে পারেনি জার্মান ক্লাবটি। একের পর এক আক্রমণ সাজিয়েছেন, অবশেষে ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে আসে সেই আরাধ্য গোল। তাঁর মাপা ক্রস খুঁজে গিয়েছিল জোসে গিমেনেজকে আর গিমেনেজের হেডার জালে জড়ালে প্রত্যাবর্তন পূর্ণতা পায়।

ম্যাচের তখন মাত্র তিন মিনিট চলছে, ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটনের গ্যালারিতে দর্শকরা সবে নিজেদের আসন খুঁজে পেয়েছেন। ঠিক তখনই  অবিশ্বাস্য গতির এক কাউন্টার অ্যাটাকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের রক্ষণভাগকে চিরে দেন বেঞ্জামিন সেসকো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আক্রমণ এবং মুহূর্তের মাঝে পিছিয়ে পড়া, দলটা তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারেনি।

সেই সুবাদে পরের কিছু সময় দাপট দেখিয়েছিল আরবি লাইপজিগ। তবে অ্যান্টনি গ্রিজম্যানের অন্য পরিকল্পনা ছিল বোধহয়, গ্যালারি ভর্তি সমর্থন পেয়ে নিজের সেরা পারফরম্যান্স বের করে আনলেন তিনি – ২৮ মিনিটের মাথায় জালের দেখা হয় তাঁর, মার্কোস লরেন্তের হাওয়ায় ভাসানো ক্রস থেকে ভলি শটে গোল করেন তিনি।

দলকে সমতায় ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি এই ফরাসি, মাঠের এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত সর্বত্র ছুটে বেড়িয়েছেন তিনি। তাঁর এক জোড়া পায়ে ভর করেই স্বাগতিক দর্শকরা আবারো গলায় জোর খুঁজে পান।

দ্বিতীয়ার্ধেও গ্রিজম্যানকে দমিয়ে রাখতে পারেনি জার্মান ক্লাবটি। একের পর এক আক্রমণ সাজিয়েছেন, অবশেষে ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে আসে সেই আরাধ্য গোল। তাঁর মাপা ক্রস খুঁজে গিয়েছিল জোসে গিমেনেজকে আর গিমেনেজের হেডার জালে জড়ালে প্রত্যাবর্তন পূর্ণতা পায়।

অবশ্য ব্যবধান আরো বেশি হতে পারতো, পুরো ম্যাচ জুড়ে ২১টি শট নিয়েছিল স্বাগতিকরা। বিপরীতে তাঁদের দিকে শট এসেছে এর তিনভাগের একভাগ। তাছাড়া একবার তো বল গোলবারে লেগে ফিরে এসেছে। সবমিলিয়ে বলতে হয়, আধিপত্য দেখিয়েই জয় পেয়েছে স্প্যানিশ দলটি।

আর এই জয়ে প্রথম ম্যাচ ডে শেষে টেবিলের বারো নম্বরে রয়েছে তাঁরা। নতুন নিয়মের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবশ্য প্রথম আট দলের মধ্যে থাকতে পারলে সরাসরি খেলা যাবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে, সেটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত তাঁদের।

Share via
Copy link