সময়টা ভালোই কাটছিলো জুলিয়ান আলভারেজের, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে তাঁর শুরুটা ভাল না হলেও ফর্ম খুঁজে পেয়েছিলেন বটে। ক্লাবের হয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে পাঁচ গোল, এক অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হলেন তিনি।
গেতাফের বিপক্ষে জিতলেই বার্সেলোনাকে ছুঁয়ে ফেলা যাবে এমন সমীকরণকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছিল অ্যাতলেটিকো। কিন্তু এই তরুণ পুরো নব্বই মিনিট মাঠে থেকে গোল করা তো দূরে থাক, গোলমুখে শটই নিয়েছেন স্রেফ একটা।
নিজে গোল করতে পারেননি, গোল বানিয়েও দিতে পারেননি – এর বাইরেও আর্জেন্টাইন তারকা ব্যর্থ হয়েছেন ইম্প্যাক্ট রাখতে। তিনটা ডুয়েল জেতার বিপরীতে হেরেছেন ছয়টা!
ইনফর্ম ফুটবলারের অফ ফর্ম, অ্যান্টনি গ্রিজম্যানের ছন্দহীন পারফরম্যান্সের পরও অবশ্য জিততে সমস্যা হয়নি অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের। ম্যাচের ৬৯ মিনিটের সময় নাহুয়েল মলিনার ক্রস খুঁজে নেয় ডি বক্সে দাঁড়ানো অ্যালেক্সান্ডার সরলথকে। নিখুঁত হেডারে এরপর সরলথ খুঁজে নেন জালের ঠিকানা।
যদিও প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিল গেতাফে, বল দখলে এগিয়ে থাকলেও ডি পলরা পারেননি স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আনতে। দ্বিতীয়ার্ধেও একই রকম প্রতিরোধ বজায় রাখে গেতাফে; স্বাগতিক ফরোয়ার্ডদের সেই অর্থে কোনরকম সুযোগই দেয়নি তাঁরা। তবে সরলথের গোলে পার্থক্য তৈরি হয় দু’দলের। শেষপর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
এই জয়ে ১৭ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার সমান ৩৮ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরলো দলটি। টেবিলে তাঁদের অবস্থান এখন দুই নম্বরে, রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে আছে তাঁরা। এখন দেখার বিষয়, এই অবস্থান কতদিন ধরে রাখতে পারে সাদা-লাল’রা – এক্ষেত্রে অবশ্য জুলিয়ান আলভারেজদের দিকে তাকিয়ে থাকবে সমর্থকেরা।