‘প্রায়’ সেমিফাইনালে অজিরা

ওয়েস্ট ইন্ডিজেকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রায় নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার সেমি! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে সমীকরণের মারপ্যাঁচে বড় ব্যবধানে জয় পেলে তবেই দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাবনা জাগবে সেমির। আর বড় পরাজয় নিয়ে টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে নয়ে নেমে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর অর্থ হল আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলবে বাংলাদেশ দল।

১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চ শুরুতেই ব্যক্তিগত ৯ রানে ফিরলেও ওয়ার্নার ও মিশেল মার্শের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় অজিরা। মার্শ-ওয়ার্নারের জোড়া ফিফটি অজিদের এনে দেয় সহজ জয়।

ওয়ার্নারের ৫৬ বলে হার না মানা ৪ ছক্কা ও ৯ চারে ৮৯ ও মিশেল মার্শের ৩২ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৫৩ রানে ৮ উইকেটের সহজ জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। একদম শেষ মূহুর্তে ক্রিস গেইলের শিকার হন মার্শ। এরপর ওয়ার্নারের ব্যাটে সহজ জয় নিয়ে সেমিতে দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় অজিরা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩০ রান করে দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। এরপর ব্যক্তিগত ৯ বলে ১৫ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন গেইল। ব্যাট উঁচিয়ে সতীর্থদের ভালোবাসার মাঝে হয়তো জানিয়ে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে এটাই শেষবার। ৫ রানের মাথায় আউট নিকোলাস পুরান, রস্টন চেজরা। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন চরম বিপাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এরপর চতুর্থ উইকেটে ৩৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন শিমরন হেটমায়ার ও এভিন লুইস। কিন্তু দলীয় ৭০ রানে ব্যক্তিগত ২৬ বলে ২৯ রানে বিদায় নেন লুইস। অল্প কিছুদূর যেতেই ব্যক্তিগত ২৭ রানে শেষ হেটমায়ারও!

৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন বিপর্যয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর পোলার্ড-ব্রাভোদের ৩৫ রানের জুটি ভালো সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয়। দলীয় ১২৬ রানে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে ১০ রানে ফেরত যান ডোয়াইন ব্রাভো। তবে পোলার্ড-রাসেলদের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী স্কোর পায় ক্যারিবিয়ানরা। শেষদিকে ৩১ বলে ৪৪ রানে পোলার্ড ফিরলেও রাসেল অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের পক্ষে পোলার্ড সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন। অজিদের পক্ষে হ্যাজেলউড শিকার করেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৫৭/৭ (২০ ওভার); পোলার্ড ৪৪(৩১), লুইস ২৯(২৬), হেটমায়ার ২৭(২৮); হ্যাজেলউড ৪-০-৩৯-৪, জাম্পা ৪-০-২০-১, স্টার্ক ৪-০-৩৩-১।

অস্ট্রেলিয়া – ১৬১/২ (১৬.২ ওভার); ওয়ার্নার ৮৯(৫৬)*, ৫৩(৩২); আকিল হোসেন ৪-০-২৯-১, ক্রিস গেইল ১-০-৭-১।

ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link