কেন বিশ্বকাপের দল দিচ্ছে না বাংলাদেশ-পাকিস্তান?

চারিদিকে সোরগোল পড়ে গেছে। বিশ্বকাপের দামামা বেজে গেছে। দলগুলো ঘটা করে নিজেদের স্কোয়াড ঘোষণা শুরু করে দিয়েছে। বেশ একটা উৎসব-উৎসব পরিবেশ। এমনটাই তো হওয়ার কথা বিশ্বকাপকে ঘিরে। হচ্ছেও ঠিক তেমনটা। নিউজিল্যান্ড বরাবরের মতই অভিনব পন্থায় নিজেদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে।

এরপরই এক এক করে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া নিজেদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। কেননা আইসিসি-কে পহেলা মে এর মধ্যেই ১৫ সদস্যের স্কোয়াড পাঠাতে হবে। কিন্তু ব্যতিক্রম যেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মত দলগুলো। তারা এখন অবধি নিজেদের দল ঘোষণা করেনি। সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে ঘটা করে এখনই স্কোয়াড জানাবে না বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

কিন্তু কেন? শেষ সময় তো পহেলা মে! এমন প্রশ্ন ও বিস্ময় জেগেছে হয়ত অনেকেরই। তবে সত্যি বলতে এখন যে স্কোয়াড ঘোষণা হচ্ছে তা সবই প্রাথমিক স্কোয়াড। কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আইসিসি-কে জানাতে হয় একটা সম্ভাব্য স্কোয়াড। বিশ্বকাপ চলাকালীন খেলোয়াড়দের ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা সাজাতে হয় আইসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

ঠিক সে কারণেই বেশ লম্বা সময় হাতে রেখেই আইসিসি-কে একটা প্রাথমিক স্কোয়াডের তালিকা দিতে। তাতে কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না। দলগুলো চাইলে তা জনসম্মুখে জানিয়ে দিতে পারে আবার নাও পারে। মূল স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে মূলত ২৫ মে এর মধ্যে। এর আগে ১৫ সদস্যের স্কোয়াডের মধ্যে চাইলে হাজার খানেক পরিবর্তন আনতে পারবে দলগুলো।

আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে স্রেফ আইসিসি-কে জানিয়ে খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবে দলগুলো। এরপর থেকে আর থাকবে না সে সুযোগ। যদিও টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার একদিন আগে ও টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবে যেকোন দল। কিন্তু সেক্ষেত্রে আইসিসি-কে জানাতে হবে যথার্থ কারণ। বিশেষত ইনজুরি আক্রান্ত খেলোয়াড়দের পরিবর্তনের সুযোগ দিয়ে থাকে আইসিসি।

অতএব হাতে এখনও ২৫ দিনের মত সময় বাকি আছে স্কোয়াড সাজানোর জন্যে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এই সময়ে খেলবে বেশ কিছু সিরিজ। সেসব সিরিজে খেলোয়াড়দের পরখ করে দেখবে দলগুলো। ঠিক এরপরই আসলে নিজেদের স্কোয়াড ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

তবে এরই মধ্যে একটা প্রাথমিক স্কোয়াড পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আইসিসির কাছে। ঘটা করে জনসম্মুখে এখনই জানাচ্ছে না তারা। একেবারে চূড়ান্ত স্কোয়াড নিয়েই হাজির হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। কেননা খেলোয়াড় পরিবর্তন করে এই দুই দলকেই পড়তে হয় রোষানলে। সে ঝুঁকি নিতে নারাজ বিসিবি কিংবা পিসিবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link