বাবার আজম ঠিক যতটা সমালোচিত হন, ততটুকু কি তার প্রাপ্য? অন্তত অধিনায়কত্বের দিক থেকে তিনি অন্য সবার চাইতে খানিকটা এগিয়েই রয়েছেন। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি বাকিদের পেছনে ফেলেছেন। তার অধীনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক জয় এসেছে। পাকিস্তান হেসেছে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডটিও এখন দখলে রেখেছেন বাবর। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পর সর্বোচ্চ ম্যাচজয়ী অধিনায়ক এখন বাবর। তিনি পেছনে ফেলেছেন উগান্ডার ব্রায়ান মাসাবাকে। ৪৪ ম্যাচে জয় নিয়ে দুইজন ছিলেন একই অবস্থানে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামানের ব্যাটে চেপে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। সেই জয়ের মধ্য দিয়ে বাবরের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ৪৫টি জয়। টেস্ট খেলুড়ে দেশের অধিনায়কদের মধ্যে বাবরের থেকে ঢের পিছিয়ে রয়েছেন বাকিরা।
নিকটে অবস্থান করছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ। অজি এই কাপ্তান ৪০টি ম্যাচ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাবরের থেকে দুই ম্যাচ কম খেলেছেন তিনি অধিনায়ক হিসেবে। ৭৪ ম্যাচের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি ম্যাচ জিতেছেন ফিঞ্চ।
এছাড়া বিশ্বক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক ধরা হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। সেই ধোনিও রয়েছে বাবরের পেছনে। ভারত ৪১টি জয় পেয়েছে তার অধীনে। তাদের থেকেও জয় বিবেচনায় এগিয়ে রয়েছেন আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। ৪২ জয় পেয়েছিলেন তিনি। আফগানিস্তানের উত্থানের পেছনে আসগর আফগানের অবদান অনস্বীকার্য।
মূলত বাবরের সমালোচনাটা হয় বৈশ্বিক কোন আসর জেতাতে না পারায়। যদিও বেশ কয়েক দফা খুব কাছে গিয়েও ফিরতে হয়েছে তাকে। শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল অবধি পৌঁছেছিল বাবরের দল। সেবার হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের কাছে। তার আগে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাবরদেরকে নাস্তানাবুদ করেছিল অজিরা।
শিরোপার খুব কাছে গিয়েও বাবর আজম থেকে গেছেন যোজন দূরে। ঠিক এ কারণেই বাবরকে সমালোচনার সাগরে ফেলে দেওয়ার কিঞ্চিৎ পরিমাণ সুযোগ ছাড়তে নারাজ নিন্দুকেরা। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, শিরোপা জয় কি স্রেফ অধিনায়কের দায়িত্ব?