প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ের এক অপেক্ষায় ছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। ভারত-পাকিস্তান মহারণ বলে কথা। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামও তাই সেজেছিল নবরূপে। তবে লড়াইটা ছিল শুধু খাতাকলমেই, ঐতিহাসিক পটভূমিতে। বাস্তবে একপেশে এক ম্যাচের স্বাক্ষী হয়েছে সবাই।
ব্যাটিং কিংবা বোলিং— কোনো বিভাগেই ভারতের সঙ্গে পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। ম্যাচ হারের নেপথ্যে এই কারণগুলোই ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম। আমার আর রিজওয়ানে জুটিটা দারুণ গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছিল। বড় রানের দিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎই আমাদের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে। যার মাশুলটা দিতে হয় শেষ দিকেও। আমরা শেষটা ভালো করতে পারিনি। যেভাবে আমরা শুরু করেছিলাম, তাতে ২৮০–২৯০ রান অনায়াসেই হতো। কিন্তু দ্রুত উইকেট পতনের কারণে সেটা আর হয়নি। আমরা স্কোরবোর্ডে ভাল স্কোর তুলতে পারিনি।’
অবশ্য পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপও যে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি, সেটিও প্রকাশ্যে জানিয়েছেন বাবর আজম। তিনি বলেন, ‘আমাদের রান কম হয়েছিল। তবে বোলারদের থেকে চাওয়াটা আমরা পূরণ করতে পারিনি। আমাদের বোলিং সামর্থ্য অনুযায়ী হয়নি।’
আহমেদাবাদে ভারত-পাকিস্তান মহারণে বাবর-রিজওয়ানের জুটিতে বড় এক লক্ষ্যের দিকেই এগিয়েছিল পাকিস্তানের ইনিংস। কিন্তু ১৬ রানে শেষ ৫ আর ৩৬ রানে শেষ ৮ উইকেট হারানো পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ১৯১ রানে।
যার দায়টা কিছুটা যায় বাবর আজমের দিকেও। ব্যক্তিগত ৫০ রান পূরণের পরে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। আর তাঁর আউটের পরই পাকিস্তানের ইনিংসে ধস নামতে শুরু করে। ফলত, বড় সংগ্রহের পথে হেঁটেও মাত্র ১৯১ রানে গুঁটিয়ে যায় পাকিস্তান।
এরপর পাকিস্তানের দেওয়া সেই ১৯২ রানের লক্ষ্য ১১৭ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় ভারত। এক রোহিত শর্মা ঝড়েই শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে ৮৬ রানের ইনিংস খেলা সেই রোহিতকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাবর আজম।
তিনি বলেন, ‘দুর্দান্ত একটা ইনিংস। আমরা তাঁর উইকেট নিতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি। যখন পেরেছি, ততক্ষণে ম্যাচ আমাদের হাত থেকে ফসকে গিয়েছে।’