শেষ ১০ ম্যাচে তাঁর পাঁচটা হাফ সেঞ্চুরি। এর মধ্যে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজেই দু’টো। ফলে, বাবর আজম ফর্মে নেই – সেটা বলার কোনো উপায় নেই। বরং, বাবরই এই সময়ে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার – এটা চাইলে চোখ বন্ধ করেই বলে দেওয়া যায়!
কিন্তু, ভাল ব্যাটার আর গ্রেট ব্যাটারের পার্থক্যটা এখানেই। বাবর একা ম্যাচ বের করতে পারছেন কোথায়। বাবর রান করছেন, অন্য অনেকের চেয়ে বেশিই করছেন। কিন্তু, তাতে দলের ভাগ্য ফিরছে না। দল জয়ের দেখা পাচ্ছে না।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে দু’টো হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, তাঁর মধ্যে প্রথমটা ৮৩ বলে ৭৮। মানে স্ট্রাইক রেট ৯৪। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ৮৬ স্ট্রাইক রেটে করলেন ৫০। মানে, কোথাও বাবর আজমের স্ট্রাইক রেটের দশাকে একেবারে বেহাল বলা যাচ্ছে না।
তারপরও, পাকিস্তানের ভাগ্যের চিড়ে ভিজছে না। এর বড় একটা কারণ হল, পাকিস্তানের তেমন কোনো পাওয়ার হিটার নেই। বাবর আজম নিজে কোনো কালেই পাওয়ার হিটার ছিলেন না। নিউজিল্যান্ডের বড় রান তাড়া করার জন্য যেমন ব্যাটিং দরকার সেটাও তিনি এখন আর করতে পারছেন না।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও তাই পাকিস্তান অসহায় আত্মসমর্পণ করল। আরেকটি ম্যাচ হারল পাকিস্তান। হোয়াইটওয়াশ হল। ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ হল।
এটা বাবরের অপারগতা, অসহায়ত্ব। সমর্থকরা বলতে পারেন, বাবর একা কি করবেন? হ্যাঁ, বাবর একা ম্যাচ জেতাতে পারেন না। তিনি, একা কিছুই করতে পারেন না। তিনি ভাল খেলতে পারেন, তিনি ভাল ব্যাটার – সন্দেহ নেই। সেই ভাল খেলাটা পাকিস্তানকে জয়ের পথে এগিয়ে দিতে পারে, কিন্তু পূর্ণতা দিতে পারে না।