গ্লোরিয়াস কাভার ড্রাইভে দিনের সূচনা করেছিলেন বাবর আজম। ৩২০ রানের বিশাল লক্ষ্য পেরিয়ে যাবে পাকিস্তান- সেই মুহূর্তে সেটাই ছিল সকলের ভাবনা জুড়ে। কিন্তু দিনশেষে ধীরগতির বুড়িয়ে যাওয়া সম্রাট রুপে মাঠ ছেড়েছেন বাবর আজম।
ওপেনার হিসেবে বাবর খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। তবুও একপ্রকার জোর করেই তাকে দিয়ে ওপেনিং করাচ্ছে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। দলে জাত ওপেনার হিসেবে উসমান খান রয়েছেন বটে।
নিজের পছন্দের তিন নম্বর পজিশন ছেড়ে বেজায় বিপাকে রয়েছেন বাবর আজম। সেই চিত্র আরেকটিবার ফুটে উঠল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে। করাচির স্টেডিয়াম জুড়ে একটা নামই গুঞ্জন থেকে হয়েছে কোলাহল। সেই কোলাহলের মাঝে দাঁড়িয়ে বাবর একটা তানপুরা বাজিয়েছেন।
স্লো এন্ড স্টেডি উইন্স দ্য রেস- এই প্রবাদ যেন এখনকার ক্রিকেটে আর খাটে না। পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে ততটাও ধীর হতে নেই। বাবর ৯০ বল খেলেছেন। আউট হয়েছেন ৬৪ রানে। তানপুরার সুরটা যেন এক অসহ্য যন্ত্রনার জন্ম দিয়েছে। বাবরকে অবশ্য দোষ দেবে না অনেকেই।
তিনি তো অ্যাংকরিং করতে চেয়েছেন। রোম যখন পুড়ছিল নিরো তখন বাশি বাজাচ্ছিলেন। বাবরও তাই করছিলেন। তাসের ঘর টিকিয়ে রাখতে, পালটা আক্রমণের সিমেন্ট ছিল ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু ধীরলয়ের বাবরের সেদিকে ছিল না বিশেষ নজর। তিনি যেন নিজের পরিসংখ্যানের ক্যালকুলেটরকে সচল রেখেই খুশি।
এমন অর্থহীন হাফসেঞ্চুরি বাবরকের ক্যারিয়ারের আছে বেশ কিছু। কিন্তু ঘরের মাঠে দর্শকদের এভাবেও হতাশ না করলেও পারতেন তিনি। কিন্তু কি আর করার, নিউজিল্যান্ডের জয়রথে বিন্দুমাত্র ছেদ ঘটাতে পারলেন না বাবর। এভাবে অন্তত কিং হওয়া যায় না। তাকে কিং বলতে নিষেধ করেছেন তিনি। এমন চলতে থাকলে, সেদিন আর দূরে কোথায়, সিংহাসনের রাজা ভিখারির সমান হয়ে যায়!