অবশেষে আসলো আরাধ্য হাফ-সেঞ্চুরি, আসলো ব্যাট উঁচিয়ে ধরার উপলক্ষ – দুই বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সাদা পোশাকে ফিফটির দেখা পেলেন বাবর আজম। এক সময় যাকে বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা করা হতো, প্রজন্মের সেরা ব্যাটারদের সঙ্গে উচ্চারিত হতো যার নাম, তাঁর একটা হাফ=সেঞ্চুরি এভাবে আলোচনার জন্ম দিবে সেটা বোধহয় কেউই ভাবতে পারেনি।
তবে বাস্তবতা ছাড়িয়ে গিয়েছে সুদূরতম কল্পনাকেও, তিনি এতটাই অফ ফর্মের ফাঁদে পড়েছেন যে পঞ্চাশের গণ্ডিতে পা রাখাটাই স্বস্তির বৃষ্টি হয়ে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এসে ২৭তম টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি যোগ হলো তাঁর ঝুলিতে।
২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১ রানের ইনিংস খেলার পর থেকে এই ডান-হাতির ব্যাটে ছিল না কোন সেঞ্চুরি বা হাফ-সেঞ্চুরি। বাধ্য হয়ে তাঁকে বিশ্রাম দিয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট, সোজা বাংলায় সাময়িক সময়ের জন্য বাদ দেয়া যাকে বলে। বিরতি কাটিয়ে দলে ফিরে অবশ্য প্রথম ইনিংসে ভাল করতে পারেননি তিনি, তবে দ্বিতীয় ইনিংসে খানিকটা হলেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পেরেছেন।
২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর – কেটে গিয়েছে দুই বছর। বাবর এরই মাঝে খেলেছেন ১০টা টেস্ট ম্যাচ, ব্যাট করেছেন ১৯ ইনিংস। এ সময় তাঁর ব্যাটিং এভারেজ বিশের গণ্ডিও স্পর্শ করতে পারেনি! বিশতম ইনিংসে এসে ফেলেন অর্ধ-শতকের ছোঁয়া।
যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি, বাজে বল পেয়ে মনোযোগে বিঘ্ন ঘটেছিল বাবরের। তাতেই ধরা পড়েন ডিপ কভারে। ৫০ রানেই থামতে হয় তাঁকে।
লাল বলে এই তারকার ফর্ম কতটা বিবর্ণ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যার কি না দলের ব্যাটিং লাইনআপের মূল স্তম্ভ হওয়ার কথা, তিনিই যদি রান খরায় ভুগেন তাহলে আর বলার কি’বা থাকে – এখন অবশ্য রানে ফেরার খানিকটা জ্বালানি পেয়ে গেলেন তিনি।