মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিনে আলোক স্বল্পতায় খেলা হয়েছে মাত্র ৫৭ ওভার। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজমের ফিফটিতে দিনশেষে ২ উইকেটে ১৬১ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে এই টেস্টেও দারুণ শুরু পায় পাকিস্তান। সফরকারীদের একাদশে কোনো পরিবর্তন না থাকলেও বাংলাদেশ দলে আসে তিন পরিবর্তন। সাইফ হাসানের অসুস্থতায় অভিষিক্ত হন মাহমুদুল হাসান জয়। এদিকে চোট কাটিয়ে দলে ফিরেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘদিন পর সুযোগ পান খালেদ আহমেদ। বাদ পড়েন আবু জায়েদ রাহী ও ইয়াসির আলি রাব্বি। মাত্র এক টেস্টে খেলেই রাব্বির বাদ পড়া নিয়ে সমালোচনাও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও আবিদ আলি। দু’জনে মিলে ওপেনিং জুটিতেই গড়েন পঞ্চাশোর্দ্ধ জুটি। এরপর দলীয় ৫৯ রানে তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন শফিক। আগের টেস্টে দুই ইনিংসে জোড়া ফিফটি পাওয়া শফিক ফিরেন মাত্র ২৫ রানে। এরপর আজহার আলীর সাথে ১১ রানের জুটির পথে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে বোল্ড হয়ে ফিরেন আবিদ আলীও। আগের টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি ও ফিফটি পাওয়া আবিদ এই টেস্টে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।
দুই পাকিস্তানি ওপেনারই ফিরেন তাইজুলের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে। তৃতীয় উইকেটে আজহার আলীর সাথে জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম। দু’জনে মিলে ধীরে ধীরে দলের রান এগোতে থাকেন। এরপর আলোক স্বল্পতা ও হালকা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ।
খেলা পুনরায় শুরু হলেও খুব বেশি সময় আর খেলা যায়নি। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে অসাধারণ এক ফিফটি তুলে নেন বাবর। আজহার আলীর সাথে একপ্রান্তে ভীত গড়ে সফরে প্রথম ফিফটির দেখা পান পাকিস্তান অধিনায়ক। তৃতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে জুটি গড়েছেন ৯১ রানের! এরপর মিরপুরের কালো মেঘে ঢাকা আকাশে আলোক স্বল্পতায় প্রথম দিনে ৫৭ ওভার খেলা হতেই সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিনে সকাল ৯ঃ৩০ এ খেলা শুরু হয়ে পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে ৯৮ ওভার খেলা হবার কথা রয়েছে।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: পাকিস্তান
পাকিস্তান (১ম ইনিংস) – ১৬১/২ (৫৭ ওভার); বাবর ৬০(৯৯)*, আবিদ ৩৯(৮১), আজহার ৩৬ (১১২); তাইজুল ১৭-৫-৪৯-২, সাকিব ১৫-৬-৩৩।