বেরসিক বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত দ্বিতীয় ওয়ানডে

ওয়ানডে ম্যাচে ফলাফল আনতে অন্তত ২০ ওভার খেলতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৫০ রানের লক্ষ্যে আইরিশ ব্যাটাররা মাঠেই নামতে পারেনি। বেরসিক বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এ দিন টসে জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। ইনিংসের শুরু থেকেই এ দিন রয়েশয়ে খেলতে থাকেন উদ্বোধনী দুই ব্যাটার তামিম ও লিটন দাস। পাওয়ার প্লে থেকে আসে ৪২ রান।

মন্থর গতিতে চলা ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম ধাক্কা আসে তামিম ইকবালের রানআউটে। অবশ্য শুরুতে নড়বড়ে থাকলেও আস্তে আস্তে খোলস বদলাতে শুরু করেন লিটন দাশ। নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে গড়েন ১০১ রানের জুটি। অর্ধশতক পূরণের পরে সেঞ্চুরির পথে হেঁটেছিলেন অবশ্য। তবে ব্যক্তিগত ৭০ রানেই বিদায় নিতে হয় লিটনকে।

লিটনের মতো ৭০-এর ঘরেই আঁটকে থেকে আউট হয়ে ফিরে যান শান্তও। ৩ চার আর ২ ছক্কায় তিনি সাজান ৭৩ রানের ইনিংস। লিটন, শান্তর বিদায়ের পর দলের হয়ে হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় আর মুশফিকুর রহিম। দুজনের ঝড়ো ১২৮ রানের জুটিতে ৩০০ রান পার করে বাংলাদেশ। যদিও এক রান দূরে থেকে ৪৯ রানে আউট হয়ে ফিফটি মিসের আক্ষেপ নিয়েই বিদায় নেন হৃদয়।

হৃদয় ফিফটি মিস করলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিতে ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। নিজের ফিফটি পূরণের পরে আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। চার ছক্কার ফুলঝুরিতে তুলে নেন সেঞ্চুরিও। ৬০ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত শতক।

এর মধ্য সাকিব আল হাসানের ১৪ বছর আগে করা দ্রুততম সেঞ্চুরি রেকর্ড মুশফিক ভেঙ্গে দেন এ সেঞ্চুরির মাধ্যমে। আর মুশফিকের এ ঝড়ো ইনিংসে ৩৪৯ রানের রেকর্ড সংগ্রহের দেখা পায় বাংলাদেশ।

মুশফিক ঝড়ের পর ইনিংস বিরতিতে বাঁধা আছে বৃষ্টির বাগড়া। দফায় দফায় বৃষ্টিতে মাঠ খেলার অনুপযোগী হওয়ায় ভেস্তে যায় ম্যাচটি। ম্যাচের কাটঅফ টাইম ছিল ৯ টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু তার মিনিটে ৩০ আগেই ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন। এ ম্যাচ পরিত্যাক্ত হওয়ায় সিরিজ জিততে এখন শেষ ম্যাচ জিততেই হবে বাংলাদেশকে।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link