বাংলাদেশের দ্রুততম পাঁচ ওয়ানডে সেঞ্চুরি

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে প্রোটিয়া ব্যাটার এবিডি ভিলিয়ার্সের। অতিমানবীয় এই রেকর্ডটি অনেকদিন টিকে থাকবে তা মোটামুটি নিশ্চিত। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি এতদিন ছিলো সাকিব আল হাসানের। সেটিও ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে।

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে প্রোটিয়া ব্যাটার এবিডি ভিলিয়ার্সের। অতিমানবীয় এই রেকর্ডটি অনেকদিন টিকে থাকবে তা মোটামুটি নিশ্চিত। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি এতদিন ছিলো সাকিব আল হাসানের দখলে। সেটি ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে করেছিলেন সাকিব।

১৪ বছর আগের সেই রেকর্ড এবার ভাঙলেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ম্যাচের ২৬ বলে ৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর দ্বিতীয় ম্যাচে এসে গড়লেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসেরই দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। মুশফিকের এমন রেকর্ডের দিনে দেখে আসা যাক বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম পাঁচটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি।

  • মুশফিকুর রহিম (৬০ বল)- আয়ারল্যান্ড

বয়সটা ৩৬ এ পড়ছে এবার। ব্যাট হাতেও যাচ্ছিলো খুবই বাজে সময়। কোনো ফরমেটেই রানের দেখা পাচ্ছিলেন না মুশফিক। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই রুদ্রমূর্তির কিছুটা দেখা গিয়েছিলো। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এসে যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। ৩৪ তম ওভারে যখন ক্রিজে আসলেন তখন সেঞ্চুরি করাটা কিছুটা কঠিনই বটে।

সেখান থেকেই মুশফিক খেললেন অতিমানবীয় এক ইনিংস। মাঠের নামার পর থেকে মুশফিক যা যা করতে চাইলেন হলো যেন তার সবই। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিকের এই ৬০ বলে ১৪ চার আর দুই ছক্কা ১০০ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি।

  •  সাকিব আল হাসান (৬৩ বল)- জিম্বাবুয়ে

২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে সাকিব আল হাসানের ৬৩ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড টিকে ছিলো ১৪ বছর। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সেদিন জিম্বাবুয়ের বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন এই অলরাউন্ডার। রান আউটের শিকার হয়ে নয়টি চার আর চারটি ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস থামে ৬৪ বলে ১০৪ রানে।

  •  সাকিব আল হাসান (৬৮ বল)- জিম্বাবুয়ে

মাস দুয়েক আগেই বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে এসেছিলেন জিম্বাবুয়ের মাটিতে। এবার ঘরের মাটিতে সেই প্রতিপক্ষকে পেয়ে যেন আবারো ছেলেখেলায় মেতে উঠেছিলেন সাকিব আল হাসান। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৮ বলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন এই বাঁহাতি। ২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবরের ইনিংসে তিন ছক্কা ও ১৫ টি চার হাঁকিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।

  •  মুশফিকুর রহিম (৬৯ বল)- পাকিস্তান

২০১৫ সালে বিশ্বকাপের পরপরই বাংলাদেশ সফরে আসে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচেই ব্যাটিংয়ে নেমে যেন রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলায় মেতে উঠেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির পর মাত্র ৬৯ বলে মুশফিকুর রহিমও তুলে নেন সেঞ্চুরি।

ওয়ানডে ক্রিকেটে কোনো ইনিংসে বাংলাদশের দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরির ঘটনা ছিলো সেটিই প্রথম এবং একমাত্র। তামিম মুশফিকের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩২৯ রান করে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ১৬ বছর পর সেই ম্যাচেই প্রথমবারের মত পাকিস্তানকে হারায় টাইগাররা।

  • সৌম্য সরকার (৮১ বল)- জিম্বাবুয়ে

 

দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকার পর ২০১৮ সালের জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই জাতীয় দলে ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার। দলে ফিরলেও প্রথম দুই ওয়ানডেতে একাদশে জায়গা মেলেনি এই ব্যাটারের। তৃতীয় ম্যাচে একাদশে জায়গা পেয়েই সব আলো নিজের দিকে টেনে নিলেন সৌম্য। মাত্র ৮১ বলে করা সৌম্যর সেঞ্চুরি ইনিংসটি থামে নয়টি চার ও ছয়টি ছক্কায় সাজানো ৯২ বলে ১১৭ রানে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...