বাংলাদেশের বাদ পড়া একাদশ

আগামী মাসে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মোটামুটি অনুমেয় একটি স্কোয়াডই ঘোষণা করেছে বিসিবি। তবে এই দলের বাইরেও এমন কয়েকজন আছেন যারা বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেলেও পেতে পারতেন। এদের কাউকে স্কোয়াডে দেখলেও খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। দলে জায়গা না পাওয়া সেই ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি একাদশ তৈরি করেছে খেলা ৭১।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন কখনোই তেমন একটা মজবুত নয়। এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা হয়। বর্তমান সময়টাও তাঁর ব্যাতিক্রম নয়। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের বিশেষায়িত ক্রিকেটার নেই বললেই চলে।

আগামী মাসে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মোটামুটি অনুমেয় একটি স্কোয়াডই ঘোষণা করেছে বিসিবি। তবে এই দলের বাইরেও এমন কয়েকজন আছেন যারা বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেলেও পেতে পারতেন। এদের কাউকে স্কোয়াডে দেখলেও খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। দলে জায়গা না পাওয়া সেই ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি একাদশ তৈরি করেছে খেলা ৭১।

  • তামিম ইকবাল (অধিনায়ক)

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন তামিম ইকবাল। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর টি-টোয়েন্টি পারফর্মেন্স নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও এই বিশ্বকাপ দলে তাঁর থাকার কথাই ছিল। নির্বাচকরাও তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। তবে নিজে থেকেই বিশ্বকাপে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এই ওপেনার। ফলে আমাদের এই একাদশের ওপেনিং পজিশনে অটোমটেক চয়েজ তামিম ইকবাল।

  • পারভেজ হোসেন ইমন

অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকেই ইমনকে দলে ভিড়ানোর একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ক্রিকেট পাড়ায়। ভাবা হচ্ছিল দলের নিয়মিত ওপেনারদের ব্যর্থতার কারণে দলে ডাক আসতে পারে ইমনের। অনুর্ধ্ব-১৯ দলের এই ওপেনার বয়স ভিত্তিক দল থেকেই নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সেঞ্চুরি করেও নজরে এসেছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে তাঁকে আর নিউজিল্যান্ড সিরিজ বা বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাকা হয়নি। ফলে আমাদের একাদশে তামিমের সাথে আছেন তিনিই।

  • মুমিনুল হক সৌরভ

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের নামটা এই তালিকায় দেখে অবাক হতে পারেন। অনেকদিন ধরেই সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি অবিবেচিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পরিকল্পনাতেও তিনি নেই। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর পারফর্মেন্সের কারণেই আমাদের একাদশে জায়গা পেয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও বেশ ভালো করেছিলেন তিনি। এই জায়গায় সাব্বির হোসেন রুম্মানকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছিল। তবে লম্বা সময় ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তেমন কোন পারফর্মেন্স নেই সাব্বিরের।

  • ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি

ইয়াসির আলি রাব্বি লম্বা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলে পরিকল্পনাতে আছেন। মোটামুটি সব সিরিজেই তিনি স্কোয়াডে থাকেন। তবে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা খুব কম এই ব্যাটসম্যানের। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার তিনি। এছাড়া তাঁর ব্যাটিং স্টাইল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য বেশ কার্যকারি হতে পারে।

  • মোহম্মদ মিঠুন (উইকেটরক্ষক)

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত কিংবা সমালোচিত ক্রিকেটারদের একজন মোহম্মদ মিঠুন। তবে ২০১৮ এশিয়া কাপে কঠিন কন্ডিশনে তাঁর দারুণ দুটি ইনিংসের পর থেকেই জাতীয় দলে মোটামুটি নিয়মিত খেলেছেন তিনি। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাথে তাঁর ব্যাটিং এর ধরন একেবারেই যায় না। তবুও আমাদের একাদশে মিডল অর্ডারের দায়িত্বে থাকবেন তিনি।

  • মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত

এই বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেতে পারতেন মোসাদ্দেকও। কিছুদিন আগেও বিশ্বকাপের পরিকল্পনাতে বেশ ভালো ভাবেই ছিলেন তিনি। বিশেষ করে শেষ দিকে দ্রুত কিছু রান তুলে দেয়ার জন্য তাঁকে প্রস্তুত করেছিল বাংলাদেশ। তবে শামীম, সোহানদের কাছে নিজের জায়গা হারান মোসাদ্দেক। এছাড়া তাঁর বোলিংটাও বেশ কার্যকর।

  • মেহেদী হাসান মিরাজ

টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের নিয়মিত মুখ মিরাজ। বিশেষ করে উপমহাদেশে তাঁর বলিং বেশ কার্যকর। বাংলাদেশ তাঁর ব্যাটিং টা সেভাবে ব্যবহার না করলেও ব্যাট হাতেও ভালো কার্যকর হতে পারতেন তিনি। তবে মিরাজ টি-টোয়েন্টি দলে নিজের জায়গা হারিয়েছেন। ফলে আমাদের একাদশের স্পিন ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বে থাকবেন তিনি।

  • তাইজুল ইসলাম

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা স্পিনারদের একজন তাইজুল ইসলাম। তাইজুল্কে বাংলাদেশ মূলত ব্যবহার করে টেস্ট ক্রিকেটে। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পরিকল্পনাতে তিনি সেভাবে থাকেন না। তবে এই একাদশের স্পিন সামলাবেন তিনিই।

  • আল আমিন হোসেন

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এক পেসার হতে পারতেন আল আমিন হোসেন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগেও তিনি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন। তবে পরে ইনজুরির কারণে দলে জায়গা হারান তিনি। এছাড়া শরিফুল ইসলাম জাতীয় দলে আসায় তাঁর ফিরে আসার সম্ভাবনা আরো কমে যায়।

  • কামরুল ইসলাম রাব্বি

বাংলাদেশের আরেক সম্ভাবনাময় পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও দারুণ বোলিং করেছিলেন এই পেসার। তবে বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণে এই মুহূর্তে তাঁর জায়গা পাওয়াটা বেশ কঠিন।

  • হাসান মাহমুদ

বাংলাদেশের আরেক তরুণ তুর্কী হাসান মাহমুদ। পেস বোলিং দিয়ে ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ম্যাচেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই পেসার। তাঁর বোলিং নিয়ে বেশ আশাবাদী টিম ম্যানেজম্যান্ট। ইনজুরিজনিত সমস্যা না থাকলে দিব্যি এই বিশ্বকাপটা খেলে ফেলতেন। এই বিশ্বকাপে সুযোগ না পেলেও শীঘ্রই হয়তো দলে জায়গা করে নিবেন তিনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...