শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পরে দুই দলের জন্যই প্রথম সিরিজ। বিশ্বকাপ শেষে বিশ্রামের খুব একটা সুযোগ পায়নি পাকিস্তান দল। অপরদিকে মূল পর্বেই বাদ পড়ায় পাকিস্তান সিরিজের আগে বেশ সময় পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ এক সিরিজ। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সে উড়ন্ত ফর্মেই আছে বাবর আজমের দল। মূল পর্বে একমাত্র দল হিসেবে পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয়লাভ করে তারা। সেমিফাইনালে এবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাঁচ উইকেটের হারে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে পাকিস্তান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান যে কঠিন এক প্রতিপক্ষ সেটা নিয়ে কারোই সন্দেহ নেই। অপরদিকে, বিশ্বকাপের ভরাডুবিতে ব্যাকফুটেই আছে বাংলাদেশ।
মূল পর্বে পাঁচ ম্যাচের সবক’টিতে হার সহ প্রথম পর্বে সহযোগী দেশ স্কটল্যান্ডের কাছেও হারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। বিশ্বকাপের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স, মাঠে ও মাঠের বাইরের বিভিন্ন বিতর্ক আর সমালোচনায় স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সেই প্রত্যাশা অবশ্যই আছে রিয়াদ-মুস্তাফিজদের। তবে উড়তে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ যে মোটেও সহজ হবে না সেটি নিশ্চয়ই জানেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দু’দলের দেখা হয়েছে মোট ১২ বার। এর মাঝে ১০ বারই জিতেছে সফরকারী পাকিস্তান; বাকি দুই ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। হেড টু হেডে যে বাংলাদেশ যোজন যোজন পিছিয়ে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এই সিরিজের কিছু সংখ্যাকে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:
৬০
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর ৬০ রান করলেই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ছুঁয়ে ফেলবেন ২ হাজার রানের মাইলফলক।
৫৭
২০২১ সালে টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ শিকার করেছেন মোট ৫৭ উইকেট। চলতি বছর সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় আছেন দুইয়ে। ৬৪ উইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন আফগান তারকা রশিদ খান।
৪
চলতি বছর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মোট চারবার একশোর কম রানে অলআউট হয়েছে। আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে যেকোনো দলের জন্যই এটি সর্বোচ্চবার!
৭৩
আর ৭৩ রান করলেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফিফ হোসেন পৌঁছে যাবে ৫০০ রানের মাইলফলকে।
৪
মাত্র ৪ উইকেট পেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশো উইকেট শিকার করবেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
২
আর মাত্র দুই ছক্কা হাঁকাতে পারলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০ ছক্কার মালিক হবে হাসান আলি।
৪০
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে শাদাব খানের প্রয়োজন মাত্র ৪০ রানের।
১৫
অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ফিফটির (১৫) মালিক এখন পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম।
১৭৪৩
চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন পর্যন্ত পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। চলতি বছর ১৭৪৩ রান করেছেন তিনি। এই তালিকার দুইয়ে আছেন বাবর আজম। এ বছর তাঁর ঝুলিতে আছে ১৬৬৬ রান।
৪
আর চারটি বাউন্ডারি মারতে পারলেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০০ চারের কীর্তি গড়বেন শোয়েব মালিক।
৬৫
একই সাথে আর ৬৫ রান করতে পারলে তৃতীয় পাকিস্তানি ও সবমিলিয়ে ৯ম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন মালিক।