অনুশীলনের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলেন দুজন। তবে বিশ্রামের সময়টাও তো কাজে লাগানো চাই। ফরচুন বরিশালের দুই পেসার পাশাপাশি বসে কথা বললেন ক্রিকেট নিয়েই। একজন এসেছেন পাকিস্তানের খাইবার থেকে। আরেকজন এসেছেন সিলেটের বড়লেখা থেকে। ভিন্ন দেশ, ভিন জাতির এবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ ওয়াসিমকে এক করেছে এই ক্রিকেট। একইসাথে বিপিএল খেলছেন বরিশালের হয়ে।
দুজনের দেশ আলাদা, পরিচয় আলাদা। তবুও দুজনের মধ্যে কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। মোহাম্মদ ওয়াসিমের জন্ম পাকিস্তানের খাইবারে। পাশতুন গোষ্ঠী থেকে উঠে আসা ওয়াসিমরা যোদ্ধা হিসেবেই বেশি পরিচিত। ওদিকে এবাদত হোসেন নিজেই তো যোদ্ধা। চাকরি করেন বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সে। সেখান থেকেই ভলিভলের পথ ধরে চলে এলেন ক্রিকেটে।
দুজনই আলো ছড়িয়েছেন নিজ নিজ দেশের হয়ে। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা এবাদত। ওদিকে মোহাম্মদ ওয়াসিম বেশি আলো ছড়িয়েছেন রঙিন পোশাকেই।
আর এবার দুজনই খেলছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। দলটার পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারাই। দুজনই আছেন বেশ ফুরফুরে মেজাজে। একে অপরের সাথে গল্প করলেন প্রায় মিনিট দশেক। আসলে ফুরফুরে মেজাজে তো পুরো বরিশাল দলই।
দলটি আছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে। তাইতো আজ তাঁদের অনুশীলন ছিল ঐচ্ছিক। অনেকে যেমন অনুশীলনে এসেছেন, অনেকেই আবার আসেননি। দলটির হয়ে আজ লম্বা সময় অনুশীলন করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিপিএলে খুব একটা ভালো সময় কাটছে না অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের। তবে নেটে বেশ বড় বড় ছয় মারতে দেখে গিয়েছে তাঁকে। মিরপুরে যেন বড় শট খেলার অনুশীলনটাই করছিলেন রিয়াদ। তবে অনেকদিন ধরেই মাঠে এই শট গুলো খেলতে পারছেন না তিনি।
ওদিকে বরিশালের হয়ে অনুশীলন করেছেন তাঁদের ওপেনার এনামুল হক বিজয়ও। অনুশীলন করতে এসেছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজও। সব মিলিয়ে বরিশাল দল এখন আছে বেশ ফুরফুরে মেজাজে।
ওদিকে অনুশীলনে ছিলেন না দলটার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কেননা তিনি তিন তারিখ রাতেই সৌদি আরব গিয়েছেন ওমরাহ পালন করতে। মাঝে এই কয়েকদিন খেলা নেই বরিশালের। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল সকালেই আবার দেশে ফেরার কথা সাকিব আল হাসানের। এরপর সাত তারিখ দলটার হয়ে মাঠেও নামবেন তিনি।
মোহাম্মদ ওয়াসিম এখন পর্যন্ত বরিশালের হয়ে খেলেছেন ছয়টি ম্যাচ। সেখানে তাঁর ঝুলিতে আছে মোট আট উইকেট। ওদিকে বরিশালের হয়ে এবাদত এখন পর্যন্ত খেলেছেন চার ম্যাচ। সেখানে অবশ্য খুব একটা ভালো করতে পারেননি এই পেসার। চার ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট।
তবুও সব মিলিয়ে তাঁরা আছে বেশ ভালো অবস্থানেই। দল হিসেবে মাঠে অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে সাকিবের দল। এই মুহূর্তে বিপিএলের অন্যতম ফেবারিট তাঁরা। ফলে ফুরফুরে থাকা তো তাদেরই মানায়।