দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করার জন্য বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে টিকে থাকতে হত শেষ ছয় ওভার। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান তা সফল ভাবেই করতে পেরেছেন। কোন উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে সাত রান নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। তবে এই দুজনকে আরো কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে আগামীকাল।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করতে পেরছিল ২২৭ রান। জবাবে ভারত ব্যাট করতে নামলে কোহলিদের ভালোই ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। মাত্র ৯৪ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। সকালে বাংলাদেশকে দারুণ শুরুটা এনে দিয়েছিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ভারতের প্রথম তিন ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান এই স্পিনার।
এরপর তাসকিন আহমেদ তুলে নেন বিরাট কোহলির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবে এরপরই পঞ্চম উইকেটে বিশাল জুটি গড়ে ভারতের দুই ব্যাটার ঋষাভ পান্ত ও শ্রেয়াস আইয়ার। পান্ত ১০৪ বল খেলে করেন ৯৩ রান। দলীয় ২৫৩ রানের সময় পান্তকে আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওদিকে শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৭ রানের ইনিংস। এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এই দুজনের পর ভারত আর তাঁদের স্কোর বেশি বড় করতে পারেনি। ৩১৪ রানেই থেমে গিয়েছে ভারতের প্রথম ইনিংস। তবুও ৮৭ রানের লিড ছিল ভারতের। ওদিকে বাংলাদেশের হয়ে চারটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। আরেক স্পিনার তাইজুলও ৭৪ রান খরচ করে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
তবে বাংলাদেশ দলের আক্ষেপ উইকেটরক্ষক সোহানের স্ট্যাম্পিং মিস। উইকেটের পিছনে থেকে আজও সহজ সুযোগ মিস করেছেন তিনি। সাকিবের বলে বাইরে এসে খেলতে চেয়েছিলেন শ্রেয়াস। সোহান যথেষ্ট সময় পেলেও বল তালুবন্দীই করতে পারেননি এই উইকেট কিপার। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলে হয়তো ভারতকে আরো আগেই অল আউট করা যেত।
এছাড়াও শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষাভ পান্ত একাধিক বার জীবন পেয়েছেন। ফলে দ্বিতীয় দিনে ফিল্ডিংটাই সবচেয়ে বেশি পুড়িয়েছে বাংলাদেশকে। তবুও বাংলাদেশের ব্যাটারদের সামনে আগামীকাল সু্যোগ রয়েছে নিজেদের প্রমান করার। বাংলাদেশ এখন ভারতকে কত রানের টার্গেট দিতে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষা।