লক্ষ্যটা খুব একটা বড় ছিলো না; তবে চ্যালেঞ্জিং ছিলো অবশ্যই। কারণ আগের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের মেয়েরা যে রান সংগ্রহ করেছিলো আজ জয়ের জন্য তাঁর থেকে এক রান বেশীই করতে হতো বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দলকে। তাই জয় নিয়ে একটু শঙ্কা তো ছিলোই।
কিন্তু অধিনায়ক নিগার সুলতানার অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ১৯৭ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দল। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো জাহানারা সালমারা।
নিগারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় জয়টা সহজে আসলেও মাত্র ৩৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুটা ভালো হয়েছিলো না বাংলাদেশের মেয়েদের। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ফারজানা হককে নিয়ে ৪৪ রান যোগ করে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার পর চতুর্থ উইকেটে রুমানা আহমেদকে নিয়ে ১১৫ রান যোগ করে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন নিগার সুলতানা।
১৩৫ বলে ১১ টি চারের সাহায্যে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন নিগার সুলতানা এবং ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রুমানা আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দলের পক্ষে ১ টি করে উইকেট শিকার করেন মিকালা অ্যান্ডেজ, অ্যানিকা বোস ও ম্যাথে।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো শুরু এনে দুই ওপেনার অ্যান্ড্রে স্টেইন ও রবেইন শেয়ার্লি। উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পেরে ৪৪ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান শেয়ার্লি। ৫৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্রুত আরো ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল।
রিতু মনির জোড়া আঘাতে ৬৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে অ্যানিকা বোসকে নিয়ে ৭৯ রান যোগ করেন অ্যান্ড্রে স্টেইন। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা বড় রানের স্বপ্ন দেখলেও অ্যান্ড্রে স্টেইন আউট হয়ে যাওয়ার পরই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।
অ্যান্ড্রে স্টেইন ১১৮ বলে ৮০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে সালমা খাতুনের প্রথম শিকার হয়ে ফিরে যান। এরপর বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।
বাংলাদেশি বোলারদের ভিতর নাহিদা আক্তার ও রিতু মনি ৩ টি এবং সালমা খাতুন ১ টি উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দল: ১৯৬/৮ (ওভার: ৫০; অ্যান্ডে স্টেইন- ৮০, শেয়ার্লি- ১৯, বোস- ৪২) (সালমা- ২৩/১, রিতু- ২৫/৩, নাহিদা- ৩৫/৩)
বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দল: ১৯৭/৩ (ওভার: ৪৫.৩; মুর্শিদা- ২১, নিগার- ১০১*, ফারজানা- ১৫, রুমানা- ৪৫*) (বোস- ৩১/১, ম্যাথে- ৩৬/১)
ফলাফল: বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দল ৭ উইকেটে জয়ী।