বার্সার আকাশে ক্ষণিক মুক্তির বৃষ্টি

পুরো ব্যাপারটাই এখন নির্ভর করছে আরএফইএফের হাতে। তবে এই দুইজনকে খেলাতে না পারলে বার্সেলোনাকে অবশ্যই নতুন কোন ফুটবলারকে দলে ভেড়াতে হবে। তা না হলে স্কোয়াড ডেপথ নিয়ে বিপদেই পড়বেন হ্যান্সি ফ্লিক।

ক্যাম্প ন্যুতে অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নামলো, প্লেয়ার সাইনিং নিয়ে যে কালো মেঘ জমা হয়েছিল তাঁদের আকাশে সেটা বৃষ্টি হয়ে ঝরে গেল। বার্সেলোনা এখন চাইলে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোর সদ্ব্যবহার করতে পারে, নতুন কাউকে দলে ভেড়াতে কিংবা প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশনে কোন বাঁধা নেই তাঁদের সামনে।

প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চেষ্টার পর লা লিগার ১:১ নিয়মের আওতায় এসেছে বার্সা। এর ফলে ট্রান্সফার মার্কেটে তাঁদের প্রবেশে কোন বাঁধা রইলো না। যদিও দানি অলমো এবং পাউ ভিক্টরের রেজিষ্ট্রেশন এখনো ঝুলে আছে নিয়ম নীতির বেড়াজালে।

বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাতালান ক্লাবটির কাছ থেকে অর্থ পাওনা ছিল, সেজন্যই ফিনানশিয়াল ফেয়ার প্লে-র অধীনে আটকা পড়ে তাঁরা। তবে সম্প্রতি ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে উপার্জিত অর্থের নিশ্চয়তা পেয়েছে তাঁরা, আর সেটার কাগজপত্র লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর পরই মিলেছে মুক্তির বার্তা।

যদিও ব্লাউগানা জার্সিধারীদের কাছে অলমো আর পাউ ভিক্টরের রেজিস্ট্রেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ডিসেম্বর মাসে তাঁদের দু’জন মূল তথ্যকেন্দ্র থেকে মুছে দিয়েছে লা লিগা। ১:১ নিয়ম সেক্ষেত্রে খুব একটা সাহায্য করতে পারছে না; কেননা একই মৌসুমে কোন ফুটবলার অনিবন্ধিত হয়ে গেলে তাঁকে পুনরায় নিবন্ধন করা যায় না।

আপাতত তাই আদালতের দিকে চেয়ে আছে বার্সা, তাঁদের দাবি ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ নয় বরং জানুয়ারির উইন্ডো শেষ হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধনের সীমা থাকা উচিত। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির দুই তারিখের মধ্যে পুন:নিবন্ধন করলেই অলমো এবং পাউ বার্সার হয়ে খেলতে পারবেন।

পুরো ব্যাপারটাই এখন নির্ভর করছে আরএফইএফের হাতে। তবে এই দুইজনকে খেলাতে না পারলে বার্সেলোনাকে অবশ্যই নতুন কোন ফুটবলারকে দলে ভেড়াতে হবে। তা না হলে স্কোয়াড ডেপথ নিয়ে বিপদেই পড়বেন হ্যান্সি ফ্লিক।

Share via
Copy link