আওয়ার নেম ইজ খান!

ক্রিকেট ইতিহাসে এমন অনেক ক্রিকেটারই এসেছেন যাদের পদবি খান। তাঁরা বিভিন্ন সময় বিশ্বের নানা দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। তাঁদের মধ্যে থেকেই সেরা একাদশ বেঁছে নিয়েছে খেলা-৭১। আপনি চাইলে শাহরুখ খানকে এই একাদশের মালিকও ঘোষণা করতে পারেন।

সর্বকালের সেরা অধিনায়ক কে? কিংবা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনার কে? এমন অনেক সেরার উত্তরে কোনো না কোনো ভাবে জড়িয়ে থাকবে কোনো ‘খান’-এর নাম। এদের সবাই ঠিক একই পরিবারের না। কিংবা একই দেশেরও না। তবে সবারই নামের শেষে আছে খান।

ক্রিকেট ইতিহাসে এমন অনেক ক্রিকেটারই এসেছেন যাদের পদবি খান। তাঁরা বিভিন্ন সময় বিশ্বের নানা দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। তাঁদের মধ্যে থেকেই সেরা একাদশ বেছে নিয়েছে খেলা-৭১। আপনি চাইলে শাহরুখ খানকে এই একাদশের মালিকও ঘোষণা করতে পারেন।

  • তামিম ইকবাল খান (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। চিটাগাং এর এই খান পরিবার ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে বাংলাদেশের খেলাধুলার সাথে। তামিমের চাচা ও বড় ভাইও খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান তামিম। বাংলাদেশের এই ওয়ানডে অধিনায়ক আছেন আমাদের একাদশের ওপেনার হিসেবে।

  • মাজিদ খান (পাকিস্তান)

মাজিদ খান পাকিস্তানের হয়ে প্রায় দুই দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন মাজিদ খান। দেশটির হয়ে খেলেছেন ৬৩ টি টেস্ট ম্যাচ ও ২৩ টি ওয়ানডে ম্যাচ। টেস্টে ৩৮.৯২ গড়ে করেছেন প্রায় চার হাজার রান। পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর ঝুলিতে আছে ২৭ হাজারের বেশি রান। পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যানও আছেন আমাদের ওপেনার হিসেবে।

  • ইউনুস খান (পাকিস্তান)

আধুনিককালের ক্রিকেটে পাকিস্তানের ব্যাটিং কিংবদন্তি ইউনুস খান। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রায় দুই দশক ছিলেন পাকিস্তানের নিয়মিত মুখ। টেস্ট ক্রিকেটে ক্যারিয়ার জুড়ে রান করেছেন ৫০ এর বেশি গড়ে। টেস্টে আছে ১০ হাজারেরও বেশি রান। তিন নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ পজিশন সামলানোর জন্য তাঁর চেয়ে ভালো খান আর কে হতে পারতেন।

  • মনসুর আলী খান পতৌদি (ভারত): সহ-অধিনায়ক

ভারত ক্রিকেট ইতিহাসের আরেক কিংবদন্তি মনসুর আলী খান পতৌদি। মাত্র ২১ বছর বয়সে ভারতের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন। অনেকের মতেই তিনি ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। ভারতের হয়ে এই নবাব খেলেছেন ৪৬ টেস্ট ম্যাচ।

  • আকরাম খান (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশের বিখ্যাত খান পরিবারের আরেক সদস্য আকরাম খান। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্মলগ্নে দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন আকরাম খান। খেলেছেন ৮ টি টেস্ট ও ৪৪ টি ওয়ানডে ম্যাচ। তাঁর অধীনেই ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয় করে বাংলাদেশ দল।

  • ইমরান খান (পাকিস্তান): অধিনায়ক

তর্ক সাপেক্ষে ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক ইমরান খান। পাকিস্তানকে এনে দিয়েছিলেন তাঁদের প্রথম বিশ্বকাপ। ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অলরাউন্ডারদের একজনও তিনি। ফলে আমাদের এই খান একাদশেরও অধিনায়কের দায়িত্বে থাকবেন ইমরান খান।

  • মঈন খান (পাকিস্তান): উইকেটরক্ষক

পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মঈন খান। ইমরান খানের সেই দলে উইকেটরক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন মঈন খান। আমাদের এই একাদশেও উইকেটরক্ষক হিসেবে থাকবেন মঈন খান। পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৬৯ টেস্ট ও ২১৯ ওয়ানডে ম্যাচ।

  • রশিদ খান (আফগানিস্তান)

আফগানিস্তান তো বটেই এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটেরও অন্যতম সফল লেগ স্পিনার রশিদ খান। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে বেড়াচ্ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তে। এছাড়া টুকটাক ব্যাটটাও করতে জানেন তিনি। আমাদের একাদশের স্পিন বোলিং ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন এই আফগান লেগি।

  • জহির খান (ভারত)

ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম পেসারদের একজন জহির খান। আমাদের পেস বোলিং আক্রমণেরও নেতৃত্বে থাকবেন এই বাঁ-হাতি পেসার। ৯২ টেস্ট ম্যাচে এই পেসারের ঝুলিতে আছে ৩১১ উইকেট।

  • জুনায়েদ খান (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন জুনায়েদ খান। এই বাঁ-হাতি পেসার পাকিস্তানের হয়ে ২১ টেস্টে নিয়েছেন ৭১ টি উইকেট। এছাড়া ৭৬ ওয়ানডে ম্যাচেও তাঁর ঝুলিতে আছে ১১০ উইকেট। তিনিও থাকবেন আমাদের বোলিং আক্রমণে।

  • আরশাদ খান (পাকিস্তান) 

আমাদের স্পিন আক্রমণের আরেক খানও এসেছেন পাকিস্তান থেকে। পাকিস্তানের পেশওয়ার মূলত পেসারদের উর্বর ভূমি হলেও দীর্ঘদেহী আরশাদ খান ছিলেন অফ স্পিনার। পাকিস্তানের হয়ে ৯ টি টেস্ট ও ৫৮ ওয়ানডে ম্যাচও খেলেছেন তিনি। চাইলে এখানে পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খানকেও রাখা যেত – তবে, লেগ স্পিনার হিসেবে রশিদ খান থাকায় শাদাব খানকে রাখা সম্ভব হয়নি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...