বরিশালের পেন্টাজয়, ঢাকার পেন্টাহার

ফরচুন বরিশাল আর ঢাকা ডমিনেটর্স- দুই দলের এবারের বিপিএল যাত্রা শুরু হয়েছিল একদম বিপরীতমুখী। ঢাকা শুরু করেছিল জয় দিয়ে আর বরিশালের শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। কিন্তু বিপিএলের অর্ধেক পথ পাড়ি দেওয়ার পর আবার চিত্রটা উত্তর মেরু- দক্ষিণ মেরুর মতো বৈপরীত্যে পাল্টে গেল। ঢাকা টানা ৫ ম্যাচে হারলো, আর সাকিবের বরিশাল জিতল টানা ৫ ম্যাচে। টুর্নামেন্টে নিজেদের ৬ষ্ঠ ম্যাচে দুই দলের দেখায় ১৩ রানের জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল।

ফরচুন বরিশাল আর ঢাকা ডমিনেটর্স- দুই দলের এবারের বিপিএল যাত্রা শুরু হয়েছিল একদম বিপরীতমুখী। ঢাকা শুরু করেছিল জয় দিয়ে আর বরিশালের শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। কিন্তু বিপিএলের অর্ধেক পথ পাড়ি দেওয়ার পর আবার চিত্রটা উত্তর মেরু- দক্ষিণ মেরুর মতো বৈপরীত্যে পাল্টে গেল। ঢাকা টানা ৫ ম্যাচে হারলো, আর সাকিবের বরিশাল জিতল টানা ৫ ম্যাচে। টুর্নামেন্টে নিজেদের ৬ষ্ঠ ম্যাচে দুই দলের দেখায় ১৩ রানের জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথমে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। শুরুতে অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করে বরিশালের টপ অর্ডারদের ভালই চেপে ধরেছিল বরিশালের বোলাররা।

এখন পর্যন্ত ব্যাটে বলে দারুণ বিপিএল কাটানো নাসির এ দিন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বল হাতে। চতুরঙ্গা ডি সিলভাকে এলবিডব্লিউয়ে ফাঁদে ফেলার পর মিরাজকে ফিরিয়েছেন দারুণ এক বলে বোল্ড করে। আর এতেই ৬৩ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ফরচুন বরিশাল।

তবে আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও বরিশালের সাময়িক বিপর্যয় কাটিয়ে রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন সাকিব আর ইফতিখার। সাকিব ৩০ রান করে ফিরলেও উইকেট আগলে রেখে বরিশালের ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেন ইফতিখার। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এ ম্যাচে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি।

উইকেটে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাদের নিরবচ্ছিন্ন ৮৪ রানের জুটিতে ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায় বরিশাল। ইফতিখার করেন ৩৪ বলে ৫৬ রান। আর রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৩৪ রান করে।

১৭৪ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল ঢাকার দুই ওপেনার উসমান ঘানি আর সৌম্য সরকার। রানের চাকা সচল রেখে পাওয়ার প্লে তে উড়ন্ত এক সূচনাই এনে দিয়েছিল এ দুই ওপেনার। কিন্তু দলীয় ৪৬ রানে উসমান ঘানি আউট হয়ে যাওয়ার পর ১৩ রানের ব্যবধানে আরও দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। স্কোরবোর্ডে তখন ৫৯ রানে ৩ উইকেট।

এমন অবস্থা থেকে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরানোর দায়িত্ব নেন অধিনায়ক নাসির আর মোহাম্মদ মিথুন। রান রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে দুজনই লক্ষ্যের পথে ছুটছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বরিশালের দেওয়া লক্ষ্যে আর পৌঁছানো হয়নি। নাসির শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ফিফটি তুলে নিলেও ঢাকার ইনিংস শেষ হয় লক্ষ্য থেকে ১৪ রান দূরে। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো নাসির এ ম্যাচে অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে।

 

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...