পাওয়ার হিটিং নিয়ে এবার সরাসরি পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এশিয়া কাপ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন একটাই, জোর বাড়াতে হবে পাওয়ার হিটিংয়ে। আর সে জন্য আগস্টেই বাংলাদেশ দলে আসছেন জুলিয়ান উড, বিশ্বমানের পাওয়ার হিটিং কোচ।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় সমস্যাই হল বাউন্ডারি হাকানো। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই সীমাবদ্ধতা চোখে পড়ে বেশি। যদিও, চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে একমাত্র দল হিসেবে ১০০ টি ছক্কা হাকিয়েছে বাংলাদেশ দল, তারপরও এখানে স্কোরিং শট বাড়ানোর, স্কিল নিয়ে কাজ করার বড় সুযোগ আছে বাংলাদেশের। এবার সেই জায়গাটা ঠিক করতেই বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে বিসিবি। বিশ্বখ্যাত পাওয়ার-হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে আগস্টে আনার পরিকল্পনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।
ইতোমধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা। একইসঙ্গে জুলিয়ান উড নিজেও এই খবর স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সিমন্সের সঙ্গে কথা বলেছি। আগস্টে তিন সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশে যাচ্ছি। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত না হলেও সবকিছু ইতিবাচক দিকেই এগোচ্ছে।’
৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে আগামী ৬ আগস্ট মিরপুরে ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ দল। তার আগেই ঢাকায় পৌঁছাতে পারেন উড। ক্যাম্প চলাকালীন তিন সপ্তাহ বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। কাজের সাপেক্ষে এই মেয়াদ বাড়তেও পারে বলে জানা গেছে।
ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটে আমূল পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম কৃতিত্ব ছিল জুলিয়ান উডের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামর্থ্য নিয়ে তিনি বেশ আশাবাদী, ‘বাংলাদেশে অনেক প্রতিভা আছে। সাদা বলের ক্রিকেটে এখন বল স্ট্রাইকিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাজ হবে খেলোয়াড়দের তথ্য দেওয়া, শক্তি কীভাবে কাজে লাগাবে সেটা শেখানো।’
পাওয়ার হিটিং কোচের পাশাপাশি বিসিবি একজন স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট আনার দিকেও ভাবছে। মানসিক চাপ সামাল দেওয়া ও আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে এই পদক্ষেপ নিতে চায় বোর্ড। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় কাউকে সাইকোলজিস্টের সঙ্গে কাজ করতে রাখা হবে যেন ভাষাগত বাধা না থাকে। এই দায়িত্বে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের সঙ্গে আগে কাজ করা ডেভিড স্কটকে দেখা যেতে পারে বলে জানা গেছে।
সব মিলিয়ে, টানা ব্যর্থতার পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এবার ‘শরীর আর মাথা’—দুই জায়গাতেই পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বিসিবি। তবে এই উদ্যোগ কাগজে-কলমে থাকবে, না কি মাঠের পারফরম্যান্সে বদল আনবে—সেটাই এখন দেখার বিষয়।