তাবপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের উপর দিয়ে। সূর্য যখন ঠিক মাথার উপর, তখন তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড অনুভূত হতে শুরু করে। সেই প্রচণ্ড তাপ উপেক্ষা করেও মাঠে একঝাক তরুণ অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। নিজেদের স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার বাসনায় তারা নিজেদের পরিপক্ক করে তুলছে।
তাদেরকে সেই স্বপ্নের পথে আরেকটু এগিয়ে দিতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নিয়মিত প্রোগ্রাম হাইপারফরমেন্স (এইচপি) ইউনিট। মূলত জাতীয় দলের দরজা খোলার অপেক্ষায় থাকা খেলোয়াড়দেরকে পরিচর্যাই মূলব্রত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মোটেও ছেলেখেলা নয়। একজন ক্রিকেটারকে যেমন মাঠের ভেতরকার চাপ সামলে নিতে হয়, ঠিক তেমনি মাঠের বাইরেও বিচিত্র সব পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
যার মধ্যে অন্যতম গণমাধ্যম। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমালোচক সম্ভবত গণমাধ্যম। আবার প্রশংসার সুযোগ এলেও একরত্তি পরিমাণ কৃপণতাও দেখা যায় না। তবুও তো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কিছু নিয়ম রয়েছে। কিভাবে মিডিয়ার সাথে আলাপ সেরে নেওয়া যায় সে বিষয়টিও তো জেনে রাখতে হবে ভবিষ্যৎ তারকাদের।
সেই পরিকল্পনা থেকেই এইচপি ক্যাম্প চলাকালীন সময়ে বিসিবি আয়োজন করেছে এক ওয়ার্কশপ। সেখানেই উদীয়মান এই তারকাদের বিসিবির মিডিয়া প্রটোকল ও গণমাধ্যমের সাথে যোগাযোগের রক্ষার মৌলিক নিয়মকানুন সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে ক্যাম্পে থাকা প্রতিটা খেলোয়াড়কে।
এই বিষয়ে খেলা ৭১-কে বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম বলেন, ‘বিসিবির মিডিয়া প্রোটোকল সম্পর্কে ছেলেদের মৌলিক ধারণা দেওয়া তার পাশাপাশি কিভাবে মিডিয়া সাথে আলাপচারিতা কি করে করতে হয়। কারণ শেষ পর্যন্ত তারা যখন জাতীয় দলে খেলবে তখন তাদের বিভিন্ন ধরণের মিডিয়ার সাথে আলাপচারিতা করতে হবে।’
জাতীয় দলে খেলা প্রতিটি খেলোয়াড়রা থাকেন দর্শক সমর্থকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। তাদেরকে নিয়ে কৌতুহল থাকে বেশি। তাইতো দর্শক-সমর্থকদের চাহিদা মেটাতে গণমাধ্যম নানান ধরণের প্রশ্ন ছুড়ে দেন ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে। কখনো তা অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায় খেলোয়াড়দের জন্যে।
সেসব পরিস্থিতিতে কিভাবে সামাল দেওয়ার পাশাপাশি, আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়, সেই প্রশিক্ষণই দেওয়া হয়েছে গেল ৩০ মে। এইচপি দলের ক্যাম্পের পরিকল্পনার চার্টে এই মিডিয়া সেশনের আলাদা জায়গা ছিল বলেও জানিয়েছেন রাবিদ ইমাম।
তিনি বলেন, ‘এবারে এইচপির প্রোগ্রামের সময়সূচি নির্ধারণের সময়ই এমন এক সেশন রাখা হয়েছিল। আমাদের ইচ্ছে আছে যখনই ওদের ক্যাম্প চলাকালীন সময়ে সুযোগ পাওয়া যাবে এ ধরণের সিমুলেশন আয়োজন করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনের ভয় কাটিয়ে ওঠার এই সিমুলেশন সেশনগুলো হতে পারে বেশ কার্য্যকর এক পন্থা। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা যেমন তাদের খেলার মান দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারবে এইচপির মত নিয়মিত ক্যাম্পগুলোর কারণে।
ঠিক তেমনি, বিশ্ব গণমাধ্যমে বাংলাদেশের আগামী দিনের কাণ্ডারিরা সমীহ আদায় করতে পারবে গণমাধমের আলাপচারিতায় আত্মবিশ্বাস আর পরিপক্কতার প্রদর্শন করে। তেমনটাই হয়ত ইচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের।