সংসদ সদস্য পরিচয় ছাপিয়ে নাজমুল হাসান পাপন এখন বাংলাদেশের মন্ত্রী। নবগঠিত সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এমতাবস্থায় কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে, স্বাভাবিকভাবেই তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে সময় দেয়া সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে।
কিন্তু চাইলেই হুট করে সরে দাঁড়ানো যাবে না বোর্ড থেকে; এমনটা ঘটলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের বিভিন্ন নিয়মের মারপ্যাচে হয়তো নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশকে। এই ব্যাপারে পাপন বলেন, ‘এভাবে ছেড়ে দেয়া যায় না। আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে দেখেছি, প্রায় ব্যান। শ্রীলঙ্কাতেও সেম, ওরা নতুন বোর্ড গঠন করেছে কিন্তু আইসিসি রিকগনেশন দেয়নি।’
সেজন্যই তাড়াহুড়ো করে কোন ডিসিশন নিতে চান না; গঠনতন্ত্র মেনেই ক্রিকেট বোর্ডকে বিদায় বলবেন তিনি। বিসিবি বস বলেন, ‘এমন কিছু করব না যেটা দেশের ক্ষতি করতে পারে। অপশন কি কি আছে সেটা বুঝতে হবে। আইসিসির অনেক কমিটিতে আছি, একটা কমিটির চেয়ারম্যানও আমি। এসব জায়গায় তাঁরা কোন পরিবর্তন এক্সপেক্ট করে না।’
উপায় অবশ্য আছে, ২০২৪ সালের শেষ দিকে আইসিসির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। সেই সময় কথা বলে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে নাজমুল হাসান পাপনের সামনে। সেটাতেও আবার যদি কিন্তু রয়েছে; বর্তমান বোর্ড ডিরেক্টর যারা তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে তাঁর আসনে বসাতে হবে। বাইরে থেকে কাউকে আনার কোন উপায় নেই।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন বেক্সিমকো প্রধান। মন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর বিদায় প্রায় নিশ্চিত। এখন দেখার বিষয় কবে পদত্যাগ করেন তিনি, তবে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কে হবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরবর্তী অভিভাবক।