আইয়ুব, বাবরদের মাঝে ফারাক টি-টোয়েন্টি মেজাজের

৩৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ১৬২.৮৬। এমন একটা ইনিংসকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিরিখে ভদ্রস্থই বলা যায়। তবে প্রতিপক্ষ যখন ২২৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়, তখন এমন ইনিংসও অনেক সময় হারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমনই একটা ইনিংস খেলেছেন বাবর আজম। 

৩৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ১৬২.৮৬। এমন একটা ইনিংসকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিরিখে ভদ্রস্থই বলা যায়। তবে প্রতিপক্ষ যখন ২২৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়, তখন এমন ইনিংসও অনেক সময় হারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমনই একটা ইনিংস খেলেছেন বাবর আজম। 

কিউদের বিপক্ষে পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংসে একটা স্বপ্নের প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন সাইম আয়ুব। ৮ বলে তাঁর ২৭ রানে ওই ক্যামিওটাই জয়ের পথে রেখেছিল পাকিস্তানকে। অন্তত উড়ন্ত শুরুতে জয়ের আশার পারদকে নিচে নামতে দেয়নি। 

তবে বাবরের ইনিংসটাই কাল হয়েছে এমন বড় রানতাড়ায়। প্রথম ২৪ বলে যোগ করেছিলেন মোটে ৩০ রান। এরপর ব্যাট হাতে যখন আক্রমণাত্বক হতে গিয়েছেন, ঠিক তখনই আবার উইকেট খুইয়েছেন৷ পাকিস্তানের ম্যাচ জয়ের ক্ষীণ আশাটাও শেষ হয় সেখানেই। 

অথচ বিপরীত চিত্র ছিল দুই ওপেনারের। ২ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৮ বলেই ২৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আয়ুব। অল্পরানে থেমেছেন বটে। তবে এই ইনিংস দিয়েই যেন পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে নিজের সম্ভাবনার একটা দুয়ার উন্মোচন করলেন। অপর ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানও ছিলেন সাবলীল। ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৪ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। যতটুকু সময় ক্রিজে ছিলেন, বড় রান টপকানোর লক্ষ্যেই চোখ রেখেছিলেন। 

কিন্তু এমন হাইস্কোরিং ম্যাচের দিনেও নিজের ধরন বদলে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভূমিকায় আবর্তিত হতে পারেননি বাবর। দিনশেষে ভাল একটি ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু সেই ইনিংসে ম্যাচের ফল ভাগ্য পাল্টাতে পারেনি। 

সাইম আয়ুব নিজের ইনিংসে একটা বার্তা দিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে বহুদিন ধরেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের অনুপস্থিতি মিলেছে প্রকটভাবে। সাইম আয়ুব সেই অভাবটাই মেটাবেন কিনা, তা সময়ই বলে দিবে। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যে তিনি পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ হওয়ার পথে রয়েছেন, তা বলাই যায়। 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...