১০ বছরেও কমেনি বিরাট-গম্ভীর বিচ্ছেদের উত্তাপ

২০০৯ সাল, শ্রীলঙ্কা-ভারত ম্যাচ। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন গৌতম েগম্ভীর আর বিরাট কোহলি দুজনই। তবে ম্যাচ শেষ ম্যাচ সেরার পুরস্কারের জন্য মনোনিত করা হয় গম্ভীরকে। কিন্তু, সেই পুরষ্কার গম্ভীর নিলেন না। তুলে দিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া বিরাট কোহলির হাতে।

কারণ প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া কোহলিকে অনুপ্রেরণা দিয়ে চেয়েছিলেন গম্ভীর। এই ঘটনার চার বছরের মধ্যেই সেই বিরাট আর গাম্ভীরের সম্পর্ক কিনা রূপ নেয় দা-কুমড়া সম্পর্কে।

বিবাদের সূত্রপাত ২০১৩ সালে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক তখন গৌতম গম্ভীর আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তখন থেকেই বিবাদের শুরু বিরাট আর গম্ভীরের। গত দশ বছরে সেই বিবাদ শুধু বেড়েই চলেছে। একজন যেন আরেকজনকে সহ্যই করতে পারেন না।

গম্ভীরের ভূমিকা বদলেছে এখন। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু বিরাট-গম্ভীরের এবারের সাক্ষাতেও বারুদ জ্বলে উঠলো আবার। সতীর্থরা না থামালে হয়তো হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যেতেন ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী এই দুই ক্রিকেটার।

২০১৩ সালের আইপিএলের পর যখনই বিরাট আর গম্ভীরের দেখা হয়েছে তখনই দর্শকদের চোখ আটকে ছিলো সেখানে। দুজনের বিবাদের কথা অজানা নয় ক্রিকেট নিয়ে টুকটাক খবর রাখা কারোই। নানান সময় মাঠে ও মাঠের বাইরে কথা যুদ্ধে জড়িয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার।

গতকাল ব্যাঙ্গালুরু-লখনৌ ম্যাচে গাম্ভীর লখনৌর ডাগ আউটে ছিলেন বলেই কিনা শুরু থেকেই তেতে ছিলেন বিরাট। লখনৌত প্রতিটা উইকেট পতনের পরই নিজের স্বভাব সুলভ বুনো উদযাপনে মেতে উঠছিলেন কোহলি।

বুনো উদযাপন অবদি সব ঠিকই ছিলো৷ কিন্তু উদযাপনের সময় বিরাট বারবার মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করার ইশারা দিচ্ছিলেন লখনৌ ডাগআউটে বসে থাকা গৌতম গাম্ভীরের দিকে। লখনৌর প্রতিটি উইকেট পতনের সাথে সাথে যেন কোহলির উদযাপনের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছিলো।

ঘটনা চরম মাত্রায় পৌঁছায় লখনৌর ইনিংসের ১৭ তম ওভারে। লখনৌ ব্যাটার নাভিন উল হক আউট হবার পর উদযাপন করতে গিয়ে নিজের ক্যাপ খুলে মাটিতে ছুড়ে মারেন কোহলি। তৎক্ষনাৎ কিছু না বললেও ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলতে দেখা যায় নাভিনকে। কোহলিও পাল্টা জাবাব দেন তাকে।

একসময় তা রূপ নেয় কথাকাটাকাটিতে। এরপরই কোহলির দিকে তেড়ে যান গম্ভীর। শুরু হয় তুমুল বাগবিতণ্ডা। দুইজনের বাক যুদ্ধ এমন এক পর্যায়ে চলে যায় যে তা হতে পারতো হাতাহাতিও। তবে দুই দলের বাকি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা দুইজনকে আলাদা করে নিলে শান্ত হয় পরিস্থিতি।

বিরাট-গম্ভীরের এই বাদানুবাদ যে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ভালোভাবে নেবে না সেটিই অনুমেয় ছিলো। আইপিএলের আচরণবিধির ২.২১ ধারা লঙ্ঘন করায় দুইজনেরই ম্যাচ ফির পুরোটা জরিমানা করা হয়েছে। ছাড় পাননি নাভিন উল হকও। তাকে জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link