বড় ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশের তরুণীরা। ৬-১ ব্যবধানের পরাজয় আশার প্রদীপের আলো প্রায় নিভু নিভু। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে যেতে হলে এখন চীনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে সাগরিকাদের।
ভীষণ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল শ্রীমতি তৃষ্ণা রাণীরা। শুরু থেকেই ম্যাচে কোরিয়ানদের দাপট ছিল স্পষ্ট। বাংলাদেশ রীতিমত খাবি খাচ্ছিল কোরিয়ার বিপক্ষে। তবে স্রোতের বিপরীতে সাগরিকা, শান্তি মার্ডিদের অসাধারণ আক্রমণ। সেখান থেকে তৃষ্ণার গোলে প্রথমেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
ম্যাচে ১৫ মিনিটের মাথায় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে স্বপ্ন ছোঁয়ার আরও খানিকটা কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল পিটার বাটলারের শীষ্যরা। নিদেনপক্ষে ড্র হলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে উত্তীর্ণ হতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে স্বপ্ন থেকে ক্রমশ দূরে সরে গেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রথম গোলের চার মিনিট পরেই সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রথমার্ধে ১-১ ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল। ড্র-য়ের ভাবনা থেকেই বাংলাদেশ দল নিজেদের কৌশল ও পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে। বলের দখল না পেয়ে রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলতে শুরু করে। সেটাই বরং কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা নিজেদের সামর্থ্য আর সক্ষমতার প্রকাশ ঘটাতে থাকে দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শুরু থেকে। শেষের ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ হজম করে আরও পাঁচটি গোল। তাতে করে সমীকরণের মারপ্যাঁচ আরও খানিকটা কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্যে। এই মুহূর্তে তিন ম্যাচ খেলে, ছয় পয়েন্ট বাংলাদেশের দখলে।
তিনটি সেরা রানার্সআপ দল যাবে মূল পর্বে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন তিন নম্বরে। চার নম্বরে সমান সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে বসে আছে লেবানন। তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ চীনের মেয়েরা। তাদের বিপক্ষে লেবানন ড্র করলে কপাল পুড়বে বাংলার মেয়েদের। তাতে করে সাত পয়েন্ট নিয়ে মূল পর্বের টিকিট কাটবে লেবানন।
তাদের পরাজয়ই কেবল বাংলাদেশের মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করবে। লেবানন কোনভাবে ড্র করে ফেললে আবার তাকিয়ে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়ার দিকে। চাইনিজ তাইপেকে দুই গোলের ব্যবধানে অজিরা হারালেও বাংলাদেশের রাস্তা হবে পরিষ্কার। বাছাইপর্বে দারুণ খেলেও সমীকরণের গভীর খাঁদে পতিত হল বাংলাদেশ।