ফুটবল দুনিয়ায় বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে সফল ক্লাব রিয়াদ মাদ্রিদ। আর মাদ্রিদ মানেই একটা সময় ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে ২০১৮ সালে এই গ্রেট ক্লাব ছাড়ার পর মধ্যমণির আসনে বসেছিলেন করিম বেনজেমা। রোনালদোর পর সার্জিও রামোসও ছেড়েছিলেন ক্লাব। ক্লাবের এমন অবস্থাতে বেনজেমা ছিলেন বড় ভরসা।
রোলানদোর সময়ে বেনজেমা খুব একটা আলোচনায় আসতে পারেননি। খারাপ সময় দেখেছিলেন খুব কাছ থেকে। সহজ সুযোগ পেয়েও গোল মিস করেছিলেন অসংখ্যবার। রোনালদোর চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। মুখ লুকিয়ে অসংখ্যবার বেনজেমাও নিজের প্রতিই ছিলেন বিরক্ত।
সময়ের সাথে বেনজেমা দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান। রিয়ালকে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। নিজেও জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। সাদা জার্সিতে সফলতা-ব্যর্থতায় পার করেছেন ১৪ বছর। তবে সম্পর্ক আর দীর্ঘ করতে আগ্রহী না তিনি।
যদিও দিন দুয়েক আগে দাপট নিয়ে বলেছিলেন ‘ছাড়ছেন না রিয়াল’। তবে শেষ পর্যন্ত বেনজেমাকে শুভকামনা জানালেন ক্লাবটি। রিয়াল সমর্থকদের ভালোবাসা দারুণভাবেই পেয়েছেন বেনজেমা। কারণ তিনি হয়ে উঠেছিলেন মাদ্রিদের হাসির কারণ। বেনজেমার না থাকা অবশ্যই বড় ধাক্কা সমর্থকদের জন্য।
২০০৯ সালে মোনাকো ছেড়ে রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন বেনজেমা। রিয়ালের জার্সিতে কাটালেন ১৪ বছর। এসময় ম্যাচ খেলেছেন ৬৪৭টি।
রিয়ালের হয়ে ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে বেনজেমা। এছাড়াও ৪টি লা লিগা সহ জিতেছেন ২৫টি মেজর শিরোপা। সবশেষ মৌসুমে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি। করেছিলেন ১৫টি গোল।
রিয়ালের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক রোনালদো। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন বেনজেমা। ক্লাবের জার্সিতে করেছেন ৩৫৩ গোল।
রিয়াল ছাড়ছেন বেনজেমা, এই ঘোষণা দিয়েছে অবশ্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের পক্ষ্য থেকে বলা হয়েছে, ‘ক্লাবের মর্যাদার পাশাপাশি আচরণ আর পেশাদারিত্বের জন্য বেনজেমা সব ছিলেন সময়ই অনুকরণীয় একজন। নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সে ওই অধিকার টুকু আদায় করে নিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ সব সময়ই তার ঘর হয়ে থাকবে। পরবর্তী পর্যায়ের জন্য পরিবার ও তার প্রতি রইলো শুভকামনা।’
ক্লাবের ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার রিয়ালের জার্সিতে সবশেষ ম্যাচ খেলবেন বেনজেমা। লা লিগায় এই মৌসুমে বেনজেমার প্রতিপক্ষ অ্যাথলেটিকো বিলবাও। গুঞ্জন আছে সৌদিতেই আসছেন বেনজেমা।
সৌদি দ্রুত ফুটবল তারকাদের রাজত্বে পরিণত হবে। খবর, সৌদি চ্যাম্পিয়ন আল ইত্তিহাদের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন বেনজেমা। সৌদি এসব তারকাদের ব্যবহার করে নিজেদের ফুটবল ব্র্যান্ড তৈরি করছে।