আমেরিকায় সম্প্রতি ক্রিকেটের জোয়ার এসেছে। ক্রিকেট নিয়ে এখন বেশ সিরিয়াস দেশটি। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ক্রিকেটাররা পাড়ি জমাচ্ছেন আমেরিকায়। ভারত, শ্রীলঙ্কা কিংবা ইংল্যান্ডের মত দেশগুলোর অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারও এখন নাম লেখাতে চান আমেরিকার ক্রিকেটে।
এছাড়া আরো অনেক নামী-দামী ক্রিকেটারও আমেরিকায় পাড়ি জমানোর গুঞ্জন শোনা যায়। সেই গুঞ্জনকে পাশে রেখে যারা ইতিমধ্যে ঘোষনা দিয়ে দিয়েছেন তাঁদের দিকেই নজর দেয়া যাক। আমেরিকা পাড়ি জমানো এইসব ভিনদেশি ক্রিকেটারদের নিয়েই তৈরি করা যায় দারুণ এক একাদশ।
- উন্মুক্ত চাঁদ (ভারত): অধিনায়ক
ভারতের এই ক্রিকেটার সম্প্রতিই আমেরিকা পাড়ি জমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এই ওপেনার ভারতের অনুর্ধব-১৯ দলের অধিনায়কও ছিলেন। ২০১২ সালে তাঁর নেতৃত্বে ভারত অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে। এছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) বিভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন এই ওপেনার। তবে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারেননি তিনি।
- সানি সোহেল (ভারত)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সাবেক এই ব্যাটসম্যানও এখন পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকায়। আমেরিকার হয়ে ইতিমধ্যে তিনটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলে ফেলেছেন তিনি। ফলে আমাদের এই একাদশেও চাঁদের সাথে ওপেনিং এর দায়িত্বে আছেন সানি সোহেল।
- সামি আসলাম (পাকিস্তান)
আমাদের এই একাদশে তিন নম্বরে ব্যাট করার জন্য আছেন সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সামি আসলাম। তিনি পাকিস্তানের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেন। যুব পর্যায়ে তাঁকে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা বলে বিবেচনা করা হত। পাকিস্তানে নিয়মিত সুযোগ না পাওয়ায় এই ব্যাটসম্যানও চলে এসেছেন আমেরিকায়। পাকিস্তানের হয়ে ১৩ টি টেস্ট ও ৪ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে এই ব্যাটসম্যানের ঝুলিতে।
- স্মিত প্যাটেল (ভারত): উইকেটরক্ষক
উন্মুক্ত চাঁদ ২০১২ সালে যে দলটিকে নিয়ে অনূর্ধ্ব -১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন সেই দলেরই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য স্মিত প্যাটেল। এই কিপার ব্যাটসম্যান অবশ্য কখনো আইপিএলে খেলার সুযোগ পাননি। তবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) তাঁকে দেখা যাবে বলে শোনা যায়। ওদিকে তিনিও এখন ভারত ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকায়। ফলে আমাদের দলের উইকেটেরক্ষক হিসেবে থাকবেন তিনিই।
- শিহান জয়াসুরিয়া (শ্রীলঙ্কা)
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অলরাউন্ডার শিহান জয়াসুরিয়া আছেন এই একাদশের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১২ ওয়ানডে ও ১৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলারও অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। এছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও এই ব্যাটসম্যানের নামের পাশে আছে ১১ টি সেঞ্চুরি।
- কোরি অ্যান্ডারসন (নিউজিল্যান্ড)
নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারও এখন খেলবেন আমেরিকার হয়ে। এক সময় ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন এই ব্ল্যাক ক্যাপ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে এই অলরাউন্ডারের। ৩১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪৮৫ রানের পাশাপাশি তাঁর ঝুলিতে আছে ১৪ টি উইকেটও। ওদিকে আইপিএলেও খেলেছেন তিনি। ফলে এই একাদশের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের নাম কোরি এন্ডারসন।
- ইয়্যান হল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া)
এই একাদশের আরেক অলরাউন্ডার হিসেবে থাকবেন ইয়্যান হল্যান্ড। একসময় ভিক্টোরিয়ার হয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন তিনি। তবে এখন তিনি আমেরিকার হয়ে খেলেন এবং দেশটির হয়ে ইতোমধ্যেই ৮ টি ওয়ানডে ম্যাচও খেলে ফেলেছেন।
- ড্যান পায়েট (দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিণ আফ্রিকার এই বোলিং অলরাউন্ডারও এখন পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকার হয়ে খেলবেন বলে। তবে এর আগে দক্ষিণ আফ্রকার হয়ে ৯ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিন। ৯ টেস্টে তাঁর ঝুলিতে আছে ২৬ উইকেট ও ১৩১ রান।
- ক্যামেরন স্টিভেনসন (অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার এই একাদশের পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে থাকবেন। ডানহাতি এই পেস বোলারকে আগে মেলবোর্নের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছে। এই পেসার ইতোমধ্যেই আমেরিকার হয়ে ৭ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন এবং তাঁর ঝুলিতে আছে ১২ টি উইকেটও।
- জুয়ান রাস্টি থেরন (দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার জুয়ান রাস্টি থেরন এখন খেলছেন আমেরিকার হয়ে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পেস বোলারদের একজন ছিলেন এই প্রোটিয়া পেসার। সবমিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে আছে ১৩ ওয়ানডে ও ৯ টি-টোয়ন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। এছাড়া আইপিএলেও খেলেছেন এই পেসার।
- সিদ্ধার্থ ত্রিবেদি (ভারত)
এই পেস বোলিং আক্রমণের আরেক সদস্য সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী। ভারতের এই পেসার আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন। সবমিলিয়ে এই পেসারের ঝুলিতে একশোরও বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।