টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলো ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে আক্ষরিক অর্থেই উড়িয়ে দিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল।
মাত্র ৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতেই আসে ২১ রান। এরপর দলীয় ২১ রানে রবি রামপলের বলে ব্যক্তিগত ১০ বলে ১১ রানে আউট হন জেসন রয়। পেসার রবি রামপলের আঘাতে ভাঙ্গে ইংলিশদের ওপেনিং জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে জস বাটলারের সঙ্গী হন জনি বেয়ারস্টো। ৯ রানের জুটির পথে আকিল হোসেনের বলে বেয়ারস্টো ফেরেন ৯ রানে।
ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরত যান মঈন আলীও! ৩৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর আকিল হোসেনের দুর্দান্ত ম্যাচে মাত্র ১ রানেই আউট লিয়াম লিভিংস্টোন! অল্প রান তাড়া করতে নেমে ৩৯ রানেই নেই ইংলিশদের ৪ উইকেট।
বাকি কাজটা সহজেই করে ফেলেন বাটলার ও অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। দু’জনের ১৭ রানের জুটিতে সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় পায় ইংলিশরা।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা। মঈন আলী, টাইমাল মিলসদের দাপটে ধসে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার। এরপর এই যাত্রায় যোগ দেন আদিল রশিদও! ইংলিশ বোলারদের সামনে দাড়াতেই পারেনি কোনো ব্যাটার!
ক্রিস গেইল ছাড়া কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। ৯ রানে ২ উইকেট থেকে গেইলের ব্যাটে তৃতীয় উইকেটে ১৮ রানের ভীত গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং শিবির। ১৪.২ ওভারে মাত্র ৫৫ রানেই গুড়িয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
দলের পক্ষে ক্রিস গেইল সর্বোচ্চ ১৩ ছাড়া হেটমায়ার করেন ৯ রান। ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারে রশিদ নেন ২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট। এছাড়া মঈন আলী, টাইমাল মিলস শিকার করেন দু’টি করে উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় এবং বিশ্বকাপে এটি তৃতীয় সর্বনিন্ম স্কোর!
ইংলিশ বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েই জয় তুলে নিলো ইংল্যান্ড। সেই সাথে টুর্নামেন্টে নিজেদের গ্রুপে বাকিদের জন্য দিলো কঠিন সতর্কবার্তা।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ৫৫/১০ (১৪.২ ওভার); ক্রিস গেইল ১৩(১৩), হেটমায়ার ৯(৯), লুইস ৬(৫); রশিদ ২.২-০-২-৪, মঈন আলী ৪-১-১৭-২, টাইমাল মিলস ৪-০-১৭-২
ইংল্যান্ড – ৫৬/৪ (৮.২ ওভার); বাটলার ২৪(২২)* , রয় ১১(১০), বেয়ারস্টো ৯(৬); রবি রামপল ২-০-১৪-১, আকিল ৪-০-২৪-২
ফলাফল ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মঈন আলী (ইংল্যান্ড)।