খুলনা টাইগার্সের বিরাট জয়

ম্যাচটা যতটা হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার কথা ছিল, আদতে তা হল না। সিলেট সানরাইজার্সের দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্যে হেসে খেলেই জিতে গেল খুলনা টাইগার্স। পাঁচ ওভার চার বল বাকি থাকতে নয় উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তাঁরা। এই নিয়ে তৃতীয় জয়ের দেখা পেল মুশফিকুর রহিমের খুলনা। অন্যদিকে, সিলেট চার হার নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শেষেই থাকলো।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৯৯ রান সংগ্রহ করে খুলনা, সেটাও আবার মাত্র ১০.৫ ওভারে।  ম্যাচটা এখানেই বের হয়ে যায়। সৌম্য সরকার ৩১ বলে ৪৩ রান করেন। ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও একটি ছক্কা।

তবে, এর চেয়েও বেশি ঝড়ো ছিল আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাট। তিনি ৪৭ বলে করেন ৭১ রান। ইনিংসে ছিল পাঁচটি ছক্কা ও পাঁচটি চার। দলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই ক্যারিবিয়ান। তাঁর হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

সিলেট সানরাইজার্সের শুরুটা ছিল ধীরগতির। তার উপর টপ অর্ডারে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাতে থাকে দলটি। নবম ওভারে ৩৪ রানের মাথায় তিন উইকেট হারায় তাঁরা।

যদিও, এখানে থেকেই সিলেটের ঘুড়ে দাঁড়ানোর সূচনা। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে ইনিংস মেরামত শুরু করেন মোহাম্মদ মিঠুন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দু’জন আট ওভার দুই বল এক সাথে থাকেন। যোগ করেন ৬৮ রান।

মোসাদ্দেক ৩০ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকলেও শেষ ওভার অবধি ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি ৫১ বলে করেন ৭২ রান। ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও চারটি ছক্কা। চলতি বিপিএলে এবারই প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেলেন মিঠুন।

নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট ১৪২ রান করে সিলেট। সিলেটের ইনিংসে মিঠুন আর মোসাদ্দেক বাদে আর কারও রানই দুই অংকের ঘরে পৌঁছায়নি। এখানেই তাঁদের ইনিংসটা অল্পে আটকে গেছে। শেষ বলে নাদিফ চৌধুরী ছক্কাটা না হাকালে হয়তো ১৪০-এর কোঠাই পূরণ হয় না।

বল হাতে খুলনা টাইগার্সের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন পেসার খালেদ আহমেদ। চার ওভার বোলিং করে মাত্র ২০ রান দিয়ে দু’টি  উইকেট নেন তিনি। কামরুল ইসলাম রাব্বি ও সৌম্য সরকারও একটি করে উইকেট নেন। বেশ মিতব্যয়ী বোলিং করেন ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি স্পিনার নাবিল সামাদ। চার ওভারে মাত্র ১০ রান দেন, একটা মেইডেন করেন, নেন একটি উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link