উড়ছে বিজয় নিশান

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ইতিহাস অনেক বড় এবং অনেক গৌরবের। তবে এটি লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পেয়েছে ২০১৩ আসর থেকে। মানে ১০ বছরও হয়নি। এইটুকু সময়ের কোনো অর্জনকে ‘ইতিহাস গড়া’ বলা তাই কঠিন। ইতিহাস ব্যাপারটির একটি বিশালত্ব তো আছে!

আরও পড়ুন

তবে রেকর্ড তো রেকর্ড। রেকর্ডের বিভিন্ন ধরন আছে। ওজন আছে। এনামুল হক বিজয়কে সেই কৃতিত্ব দেওয়া যায় অবশ্যই। লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এক আসরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড তিনি গড়ে ফেললেন। আজকের ৭৩ রানের ইনিংসের পর ১২ ইনিংসে তার রান ৮৭৮।

২০১৯ সালে সাইফ হাসান ৮১৪ রান করেছিলেন ১৬ ইনিংসে, ওই লিগেই নাঈম শেখ করেছিলেন ৮০৭। এর আগে ২০১১-১২ লিগে মুশফিকুর রহিম ১৬ ইনিংসে করেছিলেন ৯৫১ রান। ওই আসর লিস্ট ‘এ’ ছিল না।

২০০১ আসরে মোহামেডানের হয়ে অসাধারণ এক মৌসুম কাটিয়েছিলেন কেনিয়ার মহা নায়ক স্টিভ টিকোলো। ১৬ ইনিংসে সবার তিনি ১২২৭ রান করেছিলেন ৯৪.৩৮ গড় ও ১১২.২৫ স্ট্রাইক রেটে। সেঞ্চুরি ছিল ৪টি, ফিফটি ৭টি। সর্বোচ্চ ১৮৫।

ওই লিগেই সিটি ক্লাবের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ওয়াসিম নাঈম ৯৯০ রান করেছিলেন ৬১.৮৭ গড় ও ১১৪.৯৮ স্ট্রাইক রেটে। সেবারই বিমানের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মাজিদ সাঈদ করেছিলেন ৮৩ গড়ে ৯১২ রান। সিটি ক্লাবের পাকিস্তানি রেহান রফিক করেছিলেন ৮৭০, কলাবাগানের পাকিস্তানি ব্যাটার জিয়াউর রেহমান একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ করেছিলেন ৮৩৩।

ওই লিগেই আবাহনীর হয়ে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হোসেন ১৩৬ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ৮১০ রান, উইকেট নিয়েছিলেন ২৮টি! কিডনির সমস্যায় ১০ দিন আগে তিনি মারা গেছেন ৪৫ বছর বয়সে।

এছাড়াও গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বা আরও কজন মৌসুমে হাজার রান করেছেন, অনেকেই অনেক দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন, যেসব রেকর্ড-পরিসংখ্যান সংরক্ষণেই নেই।

বাংলাদেশ ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েছে ১৯৯৭ সালে, টেস্ট স্ট্যাটাস ২০০০ সালে। ঢাকা লিগের লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পেতে এত দেরি হয়েছে বিসিবির খামখেয়ালিতে বা গুরুত্ব না দেওয়ায়। অসাধারণ অনেক পারফরম্যান্সই তাই অফিসিয়াল নয় বা স্বীকৃত ক্রিকেটের বাইরে রয়ে গেছে।

– ফেসবুক থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link