ক্রিকেটাররাও মানুষ, তাঁদেরও রাগ ক্ষোভ রয়েছে। তবে পেশাদারিত্বের খাতিরে সেসব আবেগ তাঁরা লুকিয়ে রাখেন অধিকাংশ সময়। কিন্তু কার্লোস ব্র্যাথওয়েট নিজেকে সামলাতে পারলেন না, টি-টেন লিগের একটি ম্যাচে হেলমেট আর ব্যাট সজোরে ছুঁড়ে ফেলে রাগের তীব্র বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি।
নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্স বনাম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন জাগুয়ার্স ম্যাচের তখন নবম ওভার চলমান, জসুয়া লিটলের একটি বাউন্সারে পরাস্ত হন ব্র্যাথওয়েট। বলটা গ্লাভসবন্দী করেই আপিল করেন উইকেটরক্ষক, এই ক্যারিবিয়ান অবশ্য কাঁধে বল লেগেছে ধরে নিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন। কিন্তু আম্পায়ার আঙুল তুলে আউটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
তাতেই ফুঁসে ওঠেন তিনি, মাঠ ছাড়তে ছাড়তে হেলমেট শূন্যে তুলে ব্যাট দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। হেলমেটটা সোজা গিয়ে পড়ে বাউন্ডারির বাইরে। এতেও শান্ত হননি তিনি, নিজের ব্যাটটাই এরপর ছুঁড়ে ফেলে দেন। তারপর দ্রুত গতিতে চলে যান ডাগ আউটে।
পরে অবশ্য রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটা খুব সম্ভবত তাঁর কাঁধে লেগে তারপর উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েছে। অর্থাৎ এই অলরাউন্ডারকে আউট না দেয়াটাই বরং সঠিক সিদ্ধান্ত হত। কিন্তু ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) না থাকায় কিছুই করার ছিল না তাঁর, তাই তো প্রতিবাদের ঝাল মিটিয়েছেন নিজের হেলমেট আর ব্যাটের ওপরেই।
এদিন পাঁচ বলে সাত রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে এই উইন্ডিজ তারকাকে। ডেথ ওভারে তাঁর ওপর দলের প্রত্যাশা ছিল বেশি সেজন্যই মূলত অনাকাঙ্ক্ষিত-ভাবে আউট হওয়ায় আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
ব্র্যাথওয়েটের এই ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে একজন ক্রিকেটার আসলে কতটা চাপের মধ্যে থাকেন। বাইশ গজে পারফর্ম করার জন্য কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকেন। আর এসময় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের বলি হতে হলে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যে কারও জন্যই বেশ কঠিন বিষয়।